ভ্যাকসিন নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে যে বর্তমানে অনেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছেন। অবশেষে এনিয়ে আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু জানিয়েছে, এই বছরের শেষেই ভ্যাকসিন চলে আসার সম্ভাবনা জোরালো। মানব শরীরে প্রয়োগের পরীক্ষা প্রক্রিয়া সামগ্রিকভাবে সফল হলে করোনা ভ্যাকসিনকে প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু জানিয়েছে , এই বছরের শেষে ভ্যাকসিন মিলবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে ভ্যাকসিন বিপুলভাবে উৎপাদন করে গোটা বিশ্বের সকলের কাছে পৌঁছতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস হয়ে যাবে। তবে এই বছরের মধ্যেই প্রথম দফার ভ্যাকসিন আসার মতো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিটি দেশে যাতে ভ্যাকসিনের সমবণ্টন হয়, সেই লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর নেপথ্যে অবশ্যই আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চীন, ভারতের ন’টি সংস্থা রয়েছে। যাদের হিউম্যান ট্রায়ালের অগ্রগতি এই সম্ভাবনা প্রবল করেছে।
এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মধ্যে আমেরিকার সংস্থা ফাইজার, জার্মানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোদেরনা এবং ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে, অন্তত দু’মাসের ডেটা বিশ্লেষণ না করে কোনও ভ্যাকসিনকেই অনুমোদন দেওয়া হবে না। নভেম্বর মাসে কয়েকটি সংস্থা তাদের ডেটা বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে। এই প্রক্রিয়া সাফল্য পেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধার্য করা মাপকাঠি অনুযায়ী ভ্যাকসিনের গুণমান যাচাই করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার পর দু’মাসের একটি ফলো আপ সময়সীমা রাখতে হবে। তাই সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও ভারতে প্রত্যেকের ভ্যাকসিন পেতে আগামী বছরের এপ্রিল বা মে হয়ে যাবে। প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন আসার পর পরবর্তী উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হবে এবং সরকার কতটা সংগ্রহ করবে, নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্তও।
- সন্ধ্যা নামলেই ভূতের আতঙ্কে ভীত সন্ত্রস্ত এলাকাবাসী
- গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
- ঝুলন্ত পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার