ঠিক তার উল্টো দিকে সোহাগে মেতে রয়েছে ধ্রুব ও কালী। মাঝে মধ্যে তারা সঙ্গমেও লিপ্ত হচ্ছে। ওই পরিখার দিকে তাকালেই অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী রানির। কারণ আড়াই বছর আগে পুরুষ সঙ্গীর মৃত্যুর পর থেকে এখণও সঙ্গীহীন জীবন কাটাচ্ছে রানি। এবার ভালেনটাইনস ডে-ও একাকী কাটাতে হচ্ছে বর্ধমানে রমনাবাগানের মিনি-জুর স্ত্রী ভল্লুক রানিকে। ধ্রুব ও কালী হল পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ও স্ত্রী চিতাবাগ। রমনাবাগানে এটাই তাদের প্রথম ভালেনটাইনস ডে। এক বছর আগেই তারা এখানে এসে সংসার পেতেছে। ভালোবাসার সপ্তাহে ভরপুর প্রেমে মেতে রয়েছে তারা।
যদিও তাদের ঠিক উল্টোদিকের প্রতিবেশী ধ্রুব-কালীর প্রেম দেখে বড়ই বিষন্ন। এক দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে হয়তো সে পুরনো প্রেমের দিনগুলির কথাই স্মরণ করছে। আড়াই বছর আগে রানির পুরুষ সঙ্গীর মৃত্যু হয়। তার নাম ছিল রাজা। এই রমনাবাগানে রাজা-রানির সংসার বেশ ভালোই কাটছিল। কিন্তু হঠাৎ করে রাজার মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়ে রানি। প্রথমদিকে রাজার মৃত্যুর পর সে ঘর থেকে বের হতো না। তার জন্য বানানো গুহায় দীর্ঘক্ষণ ঢুকে বসে থাকত। তবে এখন মানসিকভাবে অনেকটা শক্ত হয়েছে সে। যদিও বনদপ্তর হন্যে হয়ে তার ‘পাত্র’র খোঁজ করছে। কিন্তু রানির সঙ্গী এখনও অমিল। কারণ রানির জন্য যে সে পাত্র হলে তো হবে না। হতে হবে রাজকুমার। যদিও হাজার চেষ্টাতে রানির পারফেক্ট জোরির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এবার প্রেমদিবস একাকীই কাটছে রানির। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, স্ত্রী-পুরুষ দু’জনে একসঙ্গে থাকলেই তারা ভালো থাকে। আমরা ওর পুরুষ সঙ্গীর খোঁজ করছি।