লকডাউনের মধ্যেই বিনা আড়ম্বরে মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য রাখা টাকা দুঃস্থদের ত্রাণ বিলির জন্য ক্লাবকে দান করলেন খড়্গপুরের যুবক। জানা গেছে, বিয়ের অনুষ্ঠান করার জন্য জমানো টাকা থেকে ৩১ হাজার টাকা স্থানীয় ক্লাবের সভাপতির হাতে তুলে দেন ওই যুবক। ওই টাকা থেকে ক্লাবের তরফে অসহায় দুঃস্থ মানষের ত্রাণ বিলির জন্য খরচ করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুরের যুবক সৌরভ কর্মকারের সঙ্গে ঝাড়গ্রামের সাথী পাতরের বিয়ের ঠিক হয় ১৩ মার্চ। কিন্তু সৌরভের মা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই সময় বিয়ে পিছিয়ে ১৬ এপ্রিল স্থির হয়। সেই সময় মেয়ে খড়্গপুরে তাঁর পিসির বাড়িতে চলে আসেন। তারপর থেকে এখানেই থেকে যান।
লকডাউনে মেয়ের পরিবারের কেউ উপস্থিত না থাকলেও ছেলের বাড়ি সংলগ্ন মন্দিরে বিয়ে হয় কয়েকজনের উপস্থিতিতে। এরপরই ওই দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন যে বিয়ের অনুষ্ঠানের টাকায় এই মুহূর্তে দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াবেন তাঁরা। সেই মতো স্থানয়ে ক্লাবকে ৩১ হাজার টাকা তুলে দেন। সৌরভবাবু বলেন, আমিও ওই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। ক্লাবের তরফে সাধ্যমতো গরিব ও দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমার বিয়ের অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য রাখা টাকা থেকে দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নবদম্পতির এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় এলাকার মানুষ। তাঁরা আগামী দিনেও মানুষের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।