জেলা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি তৈরি করে সকালে পুজোর পাশাপাশি বিকেলে কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে চলছে সন্ধ্যারতি।

অনেকেই মহাপুরুষদের ছবিতে ধুপ ধুনো দিয়ে পূজার্চনা করেন। এ রিতি নতুন কিছু নয়। গভীর শ্রদ্ধা থেকেই বহু মানুষ এমনটাই করে থাকেন। কিন্তু জীবিত কোন ব্যক্তির মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে সেখানে দুবেলা পূজা-অর্চনা চলছে, সন্ধ্যেবেলা কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে সন্ধ্যা আরতি থেকে শুরু করে সকালে পঞ্চ ব্যঞ্জন সহ ভোগ দেওয়া এখানে রেওয়াজ।আর সেই ব্যক্তি যখন পুরোপুরি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তখন অনেকেই চমকে ওঠেন। কিন্তু এ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই গ্রামের 78 বছরের বৃদ্ধ সুদর্শন রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বেত পাথরের মূর্তি তৈরি করে তা নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তির সামনে সকালে বিভিন্ন নৈবেদ্য সহযোগে পুজোর পাশাপাশি সন্ধ্যেবেলা কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে চলে সন্ধ্যারতি।

মমতা পূজা দেখতে পাড়ার লোকেরা সেখানে ভিড় জমান। জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্ধভক্ত সুদর্শন বাবু। তিনি বলছেন যাকে জীবনের আদর্শ মনে করি তারিত পুজো করা উচিত। তবে শেষ বয়সে বড্ড ইচ্ছে একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাক্ষাৎ দেখার। বিভিন্ন সূত্র মারফত ইতিমধ্যে তিনি খবর পাঠিয়েছেন। এখন দেখার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার সাথে সাক্ষাত করেন কিনা।

Loading

Leave a Reply