দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। একই পরিস্থিতি রাজ্যের। রাজ্য করোনাতে প্রতিদিনই প্রায় নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। তারপরেও রাজ্যে সেই অর্থে লকডাউন একপ্রকার উঠে গেছে। বাজারের হাট বাজার প্রায় সমস্ত খোলা। যথেচ্ছভাবে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ডামাডোল অব্যাহত। তখনই আমফান এবং তার পরবর্তী ঝড়ে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ লন্ডভন্ড। এখনো রাজ্যের সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেছেন। নিজের মুন্ডু কেটে নেওয়ার পাশাপাশি তিনি বলেছেন তিনি নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন তিনি চাইছেন এই সরকারকে ভেঙে দিতে। এরপরই শুরু হয় নানান জল্পনা। বিজেপি বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য চালাতে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন তাই তিনি সরকার প্রসঙ্গে এনেছেন। এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে লিজে দিতে চাইছে কিন্তু বিজেপি তা গ্রহণ করবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি করছে এই পরিস্থিতিতে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে পারছেন না। নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করা সম্পূর্ণ অন্ধকারে। যে যা ইচ্ছা করছে। প্রশাসনের কিছুই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিয়ত রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি বলছেন কেন্দ্র সহযোগিতা করছে না অথচ ঝড়ের পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন এবং প্রাথমিকভাবে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা মন্ত্রীরা যেখানে ইচ্ছে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ নিজের সংসদ এলাকায় তাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বুঝতে পারছেন এই সরকারকে কোনো ভাবে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
সেই কারণে নিজে থেকেই চাইছেন সরকার ভেঙে দিতে। কিন্তু বিজেপি এটা কখনোই করবে না। কারন তাদের ঘুন ধরা সরকারকে লিজে নেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। রাজ্যে এইরকম দুর্দিনে নতুন করে সরকার ভাঙার প্রসঙ্গ এসে পড়ায় নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হলো। রাজ্যজুড়ে তাতে হাওয়া লাগাতে শুরু করেছেন বিরোধী দলের নেতারা।