দিল্লির ভয়ানক পরিস্থিতি নিয়েও গানের মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানালেন গায়ক রুপম ইসলাম। তাঁর গানে উঠে এল ‘ইতিহাসের দগদগে ঘা’-এর কথা। জানা গেছে, রাজনৈতিক লড়াইয়ের মোড়কে দিল্লিতে মানুষে মানুষে হানাহানি চলছে। চোখে ধর্মের কাপড় বেঁধে ভাইয়ে ভাইয়ে চলছে রক্ত ঝরানোর ‘খেলা’। গানে এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রূপম। পাশাপাশি তার আরও প্রশ্ন, ‘ধেয়ে এল ওরা কোথা থেকে? কোন ঘাঁটি থেকে নেমে এল? মানুষ খুনের পরোয়ানা বলো কোত্থেকে ওরা পেল?’ গানের দৃশ্যায়নের মাঝেমধ্যেই ফুটে উঠেছে দিল্লি হিংসার খণ্ডচিত্র। কোথাও আগুন জ্বলছে, কোথাও আবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার নাম চলছে পুলিশের বেধড়ক মার। তবে তার গানের মাঝেমাঝে আছে মানবতার বার্তা। গানের গলাতে রূপমের হুঁশিয়ারি, ‘একদিন দেশ জেগে উঠে নিয়ে নেবে মানবতার শোধ’।
‘মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে আইটি সেল। শকুনের চোখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে তারা। অদৃশ্য এক অঙ্গুলিহেলনে চলছে ধর্মের নামে হানাহানি। প্রাণ যাচ্ছে ন’বছরের শিশুর। একদিকে মা হারাচ্ছেন সন্তানকে, অন্যদিকে বাবাকে হারাচ্ছে ছেলে। কিন্তু এমন নারকীয় পরিস্থিতিতেও সবাই নিজের আত্মাকে বিকিয়ে দেয়নি’ বলেও জানিয়েছেন রূপম। সে বলেছে, ‘রুখে দাঁড়াচ্ছে কোথা থেকে? ওরা বাঁচাচ্ছে প্রতিবেশি। এই তো আমার দেশের ধাঁচ। এখানে প্রেমের দামই বেশি।’ নিজের গানে কর্মখালি, বেকারত্ব, খাদ্য সমস্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রূপম। তাঁর বার্তা, দিল্লির এই হিংসায় আদতে লাভ কারওর হল না। রক্তের হোলি খেলায় ‘আসলে খুন হল দেশের মান, খুন হয়ে গেল মানবতা।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জমিয়া-মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে গান বেঁধেছিলেন রূপম ইসলাম। প্রতিবাদ ফুটে উঠেছিল তাঁর সুরেও। এর রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানীর ভয়াবহ মুহুর্তে গান বাঁধলেন রুপম।