দেশ

মাটির নীচে মজুত বিপুল পরিমাণ সোনা, উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে মিলল সোনার খনির সন্ধান

উত্তর প্রদেশের সোনভদ্র জেলা। এই অখ্যাত জেলাতেই ১৯৯২ সাল থেকে কাজ করে চলেছে জিএসআই। অবশেষে সাফল্যের খুব কাছাকাছি তারা পৌঁছে বলাই যায়। সোনভদ্রে মিলেছে বিপুল সোনার ভাণ্ডারের খোঁজ। এখানকার দুটি খনিতে প্রায় তিন হাজার টন হলুদ ধাতুর খোঁজ মিলেছে। যা ভারতের বর্তমান স্বর্ণ ভাণ্ডারের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি বলে আধিকারিকদের দাবি। এই সোনার বর্তমান বাজার মূল্য ১২ লক্ষ কোটি টাকা। সোনপাহাড়ি ও হারদি অঞ্চলে এই বিপুল পরিমাণ সোনার খোঁজ মিলেছে বলে জানা গেছে। এই খবর চাউর হতেই গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সোনার ওই পরিমাণ নিয়ে তারা কোনো তথ্য দেয়নি।

সংস্থার অধিকর্তা এম শ্রীধর সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমাদের রিপোর্ট ছিল ওখানে ১৬০ কেজি সোনা রয়েছে। তবে শুধু সোনা নয় ইউরেনিয়াম সহ অন্যান্য খনিজের সন্ধান মিলেছে ওই এলাকায়। সোনার এই উপস্থিতির কথা শুক্রবার জানিয়েছে রাজ্যের খনি বিভাগ। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সোনপাহাড়িতে সবথেকে বেশি সোনা থাকার প্রমাণ মিলেছে। সোনভদ্রের জেলা খনি আধিকারিক কে কে রাই বলেছেন, সোনাপাহাড়িতে প্রায় ২ হাজার ৯৪৩.২৬ টন সোনা মজুত রয়েছে। অন্যদিকে হারদিতে সোনার পরিমাণ ৬৪৬ কিলোগ্রাম ১৬ গ্রাম। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী ভারতে ৬২৬ টন সোনা মজুত রয়েছে।

অর্থাৎ ভারতের বর্তমান সোনার প্রায় ৫ গুণ বেশি সোনা রয়েছে সোনভদ্রে। পাহাড়ি যে এলাকায় সোনার খোঁজ মিলেছে তা ১০৮ হেক্টরজুড়ে বিস্তৃত। তবে সত্যি যদি সোনভদ্রের ওই সোনার অস্তিত্ব সঠিক হয় তাহলে সোনা মজুতের নিরিখে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবে। বর্তমানে সোনা মজুতে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা, দ্বিতীয় জার্মানি। ভারতের স্থান দশম।

Loading

Leave a Reply