রাজ্য

মাটি খুঁড়ে কয়লা বের করে গায়ে মেখে করোনা প্রতিষোধক হিসাবে ব্যবহার করলেন সাধারণ মানুষ।

মাটি খুঁড়লে মিলবে কয়লা। সেই কয়লা নদীর জলে গুলে গায়ে মাখলেই দূরে থাকবে করোনা। মুক্তি মিলবে এই মারণ ভাইরাস থেকে। এই গুজবেই শনিবার সকাল থেকে তোলপাড় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা।  বর্ধমান, হুগলি, মেদিনীপুরের গ্রামে গ্রামে কয়লা খোঁড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে বিশেষ পুজোপাঠ। কয়লা মিললে পরিবারের মহিলারা উলুধ্বনি দিচ্ছেন। শাঁখ বাজাচ্ছেন। এরপর নদী বা জলাশয়ে গিয়ে সেই কয়লা জলে গুলে গায়ে মাখছেন। তাদের বিশ্বাস, এই দৈব ওষুধ গায়ে মাখলেই নাকি করোনা থেকে মুক্তি মিলবে। শনিবার সকাল থেকেই জোর গুজব। হুগলির আরামবাগ মহকুমার পূর্ব হরিপুর, বাছানড়ি, কাবলে, মায়াপুর,গোঘাটের শাওড়া,বালি,বদনগঞ্জ সহ সব গ্রামেই মাটি খুঁড়ে কয়লা বের করার হিড়িক পড়ে। চলে উলু শঙ্খধ্বনি ।

কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজা পুড়ে গিয়েছে। এই কাঠ কয়লা তারই অংশ। অনেক গ্রামে বাড়ির বাইরে কয়লার টুকরো পাওয়া যাচ্ছে। মুন্ডেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ণের তীরে গিয়ে কয়লা গুলে গায়ে মাখা  মাটি খুঁড়লে মিলবে কয়লা। সেই কয়লা নদীর জলে গুলে গায়ে মাখলেই দূরে থাকবে করোনা। মুক্তি মিলবে এই মারণ ভাইরাস থেকে। এই গুজবেই শনিবার সকাল থেকে তোলপাড় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। অনেকের বিশ্বাস, এই দৈব ওষুধ গায়ে মাখলেই করোনা থেকে মুক্তি মিলবে।

যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা বলছেন, নিছকই রটনা। কেউ বা কারা এই গুজব ছড়িয়েছে। কোনও কোনও গ্রামে আগাম পরিকল্পনা করে কয়লা বাড়ির সামনে রেখে আসা হতে পারে। অনেক গ্রামেই এখনও বাড়িতে বাড়িতে কাঠের জ্বালে রান্না হয়। তাই মাটি খুঁড়লে পোড়া কাঠের টুকরো বা ছাই মাটি পাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তাই এখন এসব গুজবে কান না দিয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকা দরকার। করোনা ঠেকাতে সরকারের পরামর্শগুলি মেনে চলা উচিত। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় যথেষ্ট সারা দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড়।

Loading

Leave a Reply