বিশ্ব

মাত্র ৪০ পয়সার এই অতিপরিচিত ওষুধেই করোনা মুক্তি! আলোচনা দেশজুড়ে।

ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সারা দেশের বিজ্ঞানীরা নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চলছে যত দ্রুত সম্ভব এই রোগের প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কার করার। ইতিমধ্যে একাধিক দেশ নানান ওষুধ আবিষ্কার করেছে। ইতিমধ্যেই সমস্ত ওষুধের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 1000 মানুষের ওপর তাদের আবিষ্কৃত ওষুধের প্রয়োগ ঘটিয়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে মাত্র 40 পয়সার একটি ওষুধেই নাকি করোনা চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সাড়া মিলছে। এই ওষুধটির নাম ফেমোটিডিন।ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনা এবং ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)কে এই ওষুধের গুণমান পরীক্ষা ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্যাস, অম্বল সারানোর ওষুধ ফ্যামোটিডিন পেপটিক আলসার, বুকজ্বালা, পেট ব্যথা, খাদ্যনালীর ঘা বা সংক্রমণজনিত রোগ সারাতেও কাজে আসে। নানা ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয় এই ওষুধ, যেমন ভারতে ফ্যামোসিড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেপসিড।




ফ্যামোটিডিনের উৎপাদন ও করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধের ট্রায়াল কীভাবে হতে পারে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি জরুরি বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী মনসুখ মান্দাভিয়া। তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস বিভাগেরও তত্ত্বাবধায়ক। এই বৈঠকে আরও যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস বিভাগের সচিব পিডি বাঘেলা, ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনপিপিএ-র চেয়ারম্যান শুভ্র সিং এবং জনৌষধি পরিযোজনার সিইও সচীন সিং। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, “অন্যান্য দেশে করোনা রোগীদের উপর এই ওষুধের সুফলের কথা জেনেই ফ্যামোটিডিনের স্টক বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এখনও অবধি যা রিপোর্ট পাওয়া গেছে তাতে মনে হয় আগামী দিনে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো এর চাহিদাও বাড়বে। তবে দেশে এই ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করতে কোনও সমস্যা হবে না।” ইতিমধ্যে চিনেও নাকি এই ওষুধের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। যদিও এই ওষুধ কিভাবে প্রয়োগ করা হবে বা আদৌ প্রয়োগ করা হবে কিনা তার এখনো কোনো ছাড়পত্র মেলেনি। তবে বিজ্ঞানীদের আশা এই ওষুধে যথেষ্ট পরিমাণে সাড়া দিতে পারে চিকিৎসায়। সমস্ত বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।


Loading

Leave a Reply