২০১৪ সালের জুনের পর ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে পরামর্শ দিতে মঙ্গলবার নবান্নে যান বিমান বসুর নেতৃত্বে বাম প্রতিনিধি দল। যদিও এই বৈঠক রাজ্য রাজনীতিতে এক অন্যমাত্রা পেল। কারণ এদিনের বৈঠক নিয়ে সকলেরই অন্য এক কৌতূহল ছিল। কারণ ২০১৪ সালের বৈঠকে বিমান বসুকে চা ও ফিস ফ্রাই খেতে দেওয়া হয়েছিল। সেবার বিমানবাবু মুচমুচে ফিসফ্রাইয়ে কামড় দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তাই কৌতূহল ছিল এবার বৈঠকেও কি জলযোগে ফিসফ্রাই দেওয়া হয়েছে। তবে এবার সেটা হয়নি। শুধুমাত্র কাগজের কাপে লাল চা খেয়েছে বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল।
বামেরা করোনা মোকাবিলায় রাজ্যকে বেশকিছু প্রস্তাব দেয় বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। তারা ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের যথাযথ দেখভাল, কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন দাবি জানান। তবে এবার বৈঠক নতুন মাত্রা পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যতায়। আশি ছুঁই ছুঁই বিমানবাবুকে কার্যত অভিভাবকের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিমান দা, আপনি মাস্ক পরেন না কেন? বয়স হয়েছে আপনার। খুব সাবধানে থাকতে হবে আপনাকে।” মমতার এ কথা শুনে এক গাল হাসি দেখা যায় বিমানবাবুর মুখে।
মমতা অবশ্য তাতেও সন্তুষ্ট হননি। তারপর তিনি বলেন, “আপনি খুব সাবধানে থাকুন। কোনও অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন।” রাজনীতি ও বয়সে দুটি ক্ষেত্রেই অনেকটা কনিষ্ঠ মমতাকে আবেগঘন গলায় বিমানবাবুর উত্তর, ‘তুমিও অনেক ছোটাছুটি করছো। তোমাকেও সাবধানে থাকতে হবে।’ করোনা উদ্ভূত এই আতঙ্কের পরিবেশে দুই ভিন্ন মেরুর রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের এই সৌজন্যবোধ আলাদা নজির সৃষ্টি করেছে।