জেলা

মুর্শিদাবাদে লকডাউন সফলে হিমশিম অবস্থা প্রশাসনের

মুর্শিদাবাদ জেলায় লকডাউন সফল করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদ জেলাl সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় অশিক্ষা, অপুষ্টি, অনিয়ন্ত্রিত জন্ম হার, বহুবিবাহ, বাল্য বিবাহ, দুর্বল অর্থনীতি, বেকারত্ব, কুসংস্কার ইত্যাদি কারণে মুর্শিদাবাদ জেলা উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে অনেক দূরে! এই জেলার সূতি ব্লকে সাম্প্রতিক দু-চার বছর আগেও এমন দেখা গিয়েছে যে পোলিও টিকা দিতে অস্বীকার করে স্বাস্থ্যকর্মীদের আটক করে রাখা হয়েছিল। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধার করা হয়l যে জেলার ৯০ শতাংশ মানুষ দিনমজুর, সংসার চালানোর জন্যে পুরুষরা বছরের বেশিরভাগ সময়ই কাটাতে বাধ্য হন অন্য রাজ্যে, কাজ না করলে যে জেলার মানুষের পেট চালানো দায়, সেই জেলাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে আদৌ লকডাউন মানানো সম্ভব !



আবার অপরদিকে মুর্শিদাবাদ জেলাতে এমন কিছু গ্রাম আছে যেখানে পুলিশ ঢুকতে ভয় পায়। যেমন কুচিয়ামোরা, ঘোরামারা, হারুরপাড়া, মোমিনপুর, খয়রামারি, হুরসি, বাথানপারা, ডাকবাংলো ইত্যাদি গ্রামগুলোতে পুলিশ ডুকতে পারে না। কারণ ওই গ্রামগুলি দুষ্কৃতীদের আবাসস্থল! ফলে কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে গ্রামগুলিতে মানুষের অবাধ মেলামেশা ঠেকানো কীভাবে সম্ভব! ঘনবসতিপূর্ণ মুর্শিদাবাদ জেলায় গুরুতর অসুস্থ হলেও মানুষ হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য বেড পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। সেখানে করোনা সংক্রামিত হলে মানুষের চিকিৎসা করানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ পরিবারে অন্ন জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে মাস্ক স্যনিটাইজার কিনবে কোথা থেকে!এতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা পালন,খাদ্য সামগ্রী মাস্ক ইত্যাদির সঠিকভাবে বন্টন, সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে মানুষকে ঘরে না রাখতে পারলে একদা বাংলা বিহার ওড়িশার রাজধানী-মুর্শিদাবাদ মৃত্যুর স্তূপে অচিরেই পরিণত হবে।

Loading

Leave a Reply