বিশ্ব

মেয়ে ঋতুমতী হলেই সে বিবাহের যোগ্য, পাক আদালতের মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক

বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স কোনও বাধা নয়। মেয়েরা ঋতুমতী হলেই সে বিবাহযোগ্য হয়ে যাবে। ধর্মান্তকরণ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হাইকোর্ট। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে পাকিস্তানজুড়ে। এই মন্তব্যের পর যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের বিভিন্ন সংগঠন।

মামলাকারীরাও আদালতের এই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে পাক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয় সেই দিকেই নজর রয়েছে সবার। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। জোর করে ধর্মান্তরিত করানোরও অভিযোগ ওঠে। সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা ইউনিস ও নাগিনা মসিহার মেয়ে হুমাও এই নিপীড়নের শিকার হন। গত বছর অক্টোবর মাসে পরিবারের মেয়েকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। পরে আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি হুমাকে বল পূর্বক ধর্ষণ করে বিয়ে করেন। মেয়ে নাবালিকা বলে যাবতীয় তথ্য দাখিল করে সিন্ধু প্রদেশের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হুমার বাবা-মা।

তথ্য অনুযায়ী হুমার বয়স ১৪ বছর হওয়ায় মেয়ের সঙ্গে আবদুলের বিয়ে বাতিলের আর্জি রেখেছিলেন তার বাবা-মা। কিন্তু সম্প্রতি ওই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে দুই বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শরীয়ত আইন মোতাবেক বিয়ে বৈধ হতে পারে। জব্বরের সঙ্গে তার বিয়ে বাতিলের কোনও প্রশ্ন নেই। কারণ শরীয়ত আইনে বলা হয়েছে, মেয়ে ঋতুমতী হলেই সে বিবাহযোগ্যা। এক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে। আদালতের এই মন্তব্যে পাকিস্তান ছাড়াও গোটা বিশ্বে তুমুল ঝড় উঠেছে।

আমরা আসছি…….

Loading

Leave a Reply