‘অমিত শাহ ইস্তফা দিন, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিন’। এই স্লোগান তুলে সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার প্রথম দিনই বিরোধীদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা। রাজ্যসভাতেও ঝড় তুললেন বিরোধীরা। উচ্চকক্ষের অধিবেশনও মুলতুবি দুপুর পর্যন্ত। এমনকি সংসদ ভবনের বাইরে কংগ্রেস সাংসদরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল সাংসদরা চোখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন বিক্ষোভ দেখান। দিল্লির হিংসার সঙ্গে আরও কয়েকটি ইস্যুতেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
আজ থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। CAA বিরোধী বিক্ষোভের জেরে সদ্যই হিংসা, অশান্তিতে জ্বলেছে উত্তরপূর্ব দিল্লি। তা থামাতে কেন্দ্র প্রত্যাশিত সদর্থক ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। আর সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করে সংসদের ভিতরে-বাইরে সাঁড়াশি আক্রমণে কেন্দ্রকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছিলেন বিরোধীরা। সেইমতো কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআই, সিপিএম, ডিএমকের তরফে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয় দিল্লি হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে। রাজ্যসভায় বাম সাংসদরাও একই প্রস্তাব আনেন।