সম্প্রতি জনতা দল (ইউনাইটেড) থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর কিশোরের রাজনৈতিক চমক দিতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। আগামী বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের দুশ্চিন্তা বাড়াতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গী হতে চলেছেন সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার বলে সূত্রের খবর তেমনটাই। রাজনৈতিক ওয়াকিবহল মহলের একাংশের দাবি তেজস্বী যাদব, কংগ্রেস ও বামপন্থীদের এক জায়গায় এনে বিহারে এনডিএ–র বিকল্প তৈরি করতে চাইছেন কিশোর।
রাজনৈতিক মহলের খবর, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কানহাইয়ার যোগাযোগ বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। কিন্তু কিশোরের পাওনাগণ্ডা নিয়ে সংশয় ছিল কানহাইয়ার। এখন কিশোর তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন, কানাকড়ি না নিয়েই বিহারবাসীর কাছে রাজনৈতিক বিকল্প তুলে ধরতে সবরকম সহযোগিতা করবেন তিনি। গত কয়েক মাস ধরে বিহারের কানহাইয়ার প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছেন কিশোর। ইতিমধ্যেই নাকি নিজের টিম তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছেন। বিহারের যুবনেতাদের সঙ্গে নিয়ে এগোতে চাইছেন তিনি। এনডিএ–বিরোধী হিসেবে পরিচিত মুখদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরিই তাঁর লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। কিশোরের ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, ‘এই যুবনেতাদের মধ্যে জেএনইউ–এর ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার রয়েছেন। নির্বাচনের আগে কানহাইয়ার টিমে যোগ দিতে পারেন পিকে।’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি–র বিরোধিতায় কানহাইয়া কুমার সমগ্র বিহার জুড়ে সভা করছেন। সূত্রের খবর, এর ব্লুপ্রিন্ট নাকি কিশোরের হাতেই তৈরি। বলা হচ্ছে, কানহাইয়া কুমার রাজ্য জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন করে ভোটারদের মনোভাবের আঁচ পেতে চাইছেন। বামপন্থী সিপিআই, সিপিএম, সিপিআই (এমএল) দলগুলিও সঙ্গে থাকবে। তবে আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব কিছুতেই কানহাইয়া কুমারকে জায়গা ছাড়তে চাইছেন না। তবে, কংগ্রেস ও বাম দলগুলি একজোট হয়ে চাপ সৃষ্টি করলে আরজেডি এই বৃহত্তর জোট মেনে নিতে বাধ্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে চলতি বছরের শেষের দিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ‘মহা গঠবন্ধন’–-এর ত্রিমূর্তি হয়ে উঠতে পারেন কিশোর–কানহাইয়া–তেজস্বী। এখন দেখার ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোর বিহার নির্বাচনের আগে কতটা মাস্টারস্ট্রোক দেন।