সারা বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন নিয়ে রিসার্চ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায়। যখন সমগ্র বিশ্বে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, পপুলেশনের বিশ্ব উষ্ণায়ন বেড়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় গাছের প্রয়োজন। আর তাই সুন্দরবনের মতো অভয়ারন্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তি অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি বিশ্বের প্রাকৃতিক বিষ্ময়াবলির মধ্যে অন্যতম। পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এই বনভূমি প্রকৃতির হস্তক্ষেপে গড়ে উঠলেও নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অত্যন্ত ক্ষতি হয়েছে অরণ্যের। এমনকী গত নভেম্বর মাসে কলকাতার বুকে ধেয়ে অাসা বুলবুল ঝড়কে সুন্দরবন নিজের হস্তক্ষেপে আটকে, তা বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত করে।
বারবার বিভিন্ন ঝড়ের কারণে অত্যন্ত ক্ষতি হয়েছে এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যটির। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবার এই সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভকে রিসার্চ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। কলকাতাস্থিত ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশন, নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইএসটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় সুন্দরবন নিয়ে রিসার্চ শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকানোর জন্য এবং প্রতিটি মানুষের অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, তার সাথে বাস্তুতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখার জন্য সুন্দরবনের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। আর তাই এবার কীভাবে সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখা যায় তারই চেষ্টা চালাবে এই সমস্ত রিসার্চ সংস্থা গুলি।