স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলিও করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে। রানু গত ছয় মাস ধরে কোনও স্টেজ শো করেননি। তিনি বর্তমানে রানাঘাটের বেগোপাড়ায় মামীর বাড়িতে একা বাস করছেন। কিছুদিনের চাঁদের আলোর পরে অন্ধকার রাত আবার ফিরে এসেছে রানু মণ্ডলের জীবনে। প্রসঙ্গত বাংলার নদীয়া জেলার রানাঘাট রেলওয়ে স্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য যখন গাওয়া একটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় তখন তিনি সরাসরি বলিউডে চলে যান রানু রাতারাতি গান গায়িকা হয়ে ওঠেন।এমনকি প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ হিমেশ রেশমিয়া রানুকে তাঁর ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। ছবিটির ‘তেরে-মেরি কাহানী’ গানটি বেশ হিট হয়েছিল, কিন্তু ভাগ্য রানুর প্রতি দয়া করেনি এবং দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। এত বড় বিরতি পেয়েও রানু এ থেকে আর কোনও সুবিধা পান নি।
স্থানীয় কনসার্টে তার চাহিদা বেশি থাকলেও রানু রানাঘাটে ফিরে আসেন। সেও প্রচুর উপার্জন করছিলেন, তবে করোনার কারণে লকডাউন শুরু হওয়ার সাথে সাথে রানুর পুরোনো দিন গুলি ফিরে আসতে শুরু করে।
রানু মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না, তাই তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়নি, তবে তার ম্যানেজার তপন দাস বলেছেন – ‘এখন মুম্বই থেকে কোনও কাজ নেই। রানু কুয়েত, আবুধাবি সহ বিভিন্ন দেশে শো করেছেন, কিন্তু কোথাও থেকে ডাক আসেনি’।
তপন দাস আরও বলেছিলেন – ‘ সরকারের পক্ষ থেকে রানুকে বাড়ি দেওয়ার কথা ছিল, তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই করা হয়নি।