মারণ ভাইরাস করোনা সতর্কতায় দেশ জুড়ে চলছে ‘লক ডাউন’। সরকারী নির্দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান গুলি খোলা থাকলেও সরকার অনুমোদিত মদের দোকান গুলি বন্ধ রয়েছে। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে এক শিক্ষিকার স্বামী বেআইনীভাবে মদ বিক্রি করছিলেন। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানা এলাকার বামুনডিহা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ শিক্ষিকার স্বামী কল্যাণ সিং, তার বাবা তনু সিং ও সুজিত মণ্ডল নামে এক ক্রেতাকে পুলিশ আটক করে। একই সঙ্গে লক্ষাধিক টাকার মদ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেশে লক ডাউন ঘোষণার পরেও গত কয়েক দিন ধরে বামুনডিহা গ্রামের কল্যাণ সিং এর বাড়িতে পরিচিত অপরিচিত লোক জনেদের আনাগোনা বাড়ছিল। গ্রামবাসীদের বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় তারা নজর রাখছিল। এর মধ্যেই গ্রামের মানুষ বুঝতে পারেন বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ঐ ব্যক্তি বাড়িতে মজুত করে রাখা মদ চড়া দামে বিক্রি করছিলেন। বৃহস্পতিবার সুজিত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি কল্যাণ সিং এর বাড়ি থেকে বেরোনো মাত্রই গ্রামবাসীরা তাকে ঘিরে ধরেন। সম্মিলীত গ্রামবাসীদের চাপে ঐ ব্যক্তি সব গোপন রহস্য ফাঁস করে দেন। খবর দেওয়া হয় সারেঙ্গা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মদ বিক্রেতা কল্যাণ সিং, তার বাবা তনু সিং ও ক্রেতা সুজিত মণ্ডলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একই সঙ্গে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার দেশী-বিদেশী মদ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।