মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে লকডাউনে দীর্ঘদিন আটকে পড়া আজমীর
শরীফ থেকে একটি স্পেশাল ট্রেন আজ সকালে ১১৮৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক ও
তীর্থযাত্রীদের নিয়ে হুগলির ডানকুনি স্টেশন এল । ডানকুনিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ
থেকে তাদের স্বাগত জানান দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং তপন দাশগুপ্ত। ট্রেনের সমস্ত
যাত্রীদের স্টেশনে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। পরে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানেই স্পেশাল
গাড়ি করে তাদের নিজের নিজের জেলার গন্তব্যস্থলে পাঠানো হল।মন্ত্রী মলয় ঘটক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায়় সোমবার বেলা 11 টায় আজমীর শরীফ থেকে এরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক ও তীর্থযাত্রী দের নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। মঙ্গলবার দুপুর ডানকুনি স্টেশনে এলেন আটকে পড়া মানুষরা। ইতিমধ্যেইমুখ্যমন্ত্রী চেষ্টায় কয়েকদিন আগে রাজস্থানের কোটা থেকে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার পাঠরত ছাত্র ছাত্রীকে ঘরে ফেরানো হয়েছে। এদিন এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে প্রথম ট্রেনটি এল।
এদিকে এনিয়ে সোমবার সকাল থেকেই হুগলির ডানকুনি স্টেশনে শ্রমিকদের নিয়ে ফেরানোনিয়ে সাজো সাজো রব ছিল ।স্টেশনের সামনে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে ঘরে ফেরানো নিয়ে রূপ
রেখা ঠিক করেন। এদিন ৪ নম্বর স্টেশনে অস্থায়ি শেডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর তাদের নিজ নিজ জেলায় যাবার অনুমতি দেওয়া হয়। এদিকে
এইসব শ্রমিকদের নিয়ে বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে
বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে তার সঙ্গে সঙ্গে পথে তাদের খাবার এবং জলের যে
প্রয়োজন তারও বন্দোবস্ত করা হয়। আজকের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম
ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হুগলি জেলা পুলিশ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং
ডানকুনি পুরসভার সমস্ত আধিকারিকরা ও উপস্থিত থেকে এই সমস্ত দীর্ঘদিন আটকে
পড়া এই সমস্ত শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যাপারে সহায়তা করেন। বাড়ি ফেরা
শ্রমিকরা রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।