বিনোদন

লকডাউন এর গ্রীষ্মে যৌন মিলনের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে

মে মাসের গরমে নাজেহাল অবস্থা আপামর বাঙালির। তার উপরে করোনার প্রভাবে বাঙালি আজ ঘরে আবদ্ধ। তারি মধ্যে হঠাৎ যেন যৌনইচ্ছেটা আজকাল বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সমীক্ষা বলছে গ্রীষ্মে এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। কিন্তু কেন? বিছানায় যাওয়ার সময় শরীরে সুতো রাখতে ইচ্ছা করে না বলে? বাড়িতে বেশি থাকা হচ্ছে বলে? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

গ্রীষ্মকালে এই রোদের কারণে শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ে। যে হরমোন আসলে মন ভাল করে। আর সেই কারণেই যত রোদের প্রভাব বাড়বে মিলনের ইচ্ছা ততই বৃদ্ধি পাবে।

এই গরমেও অতিরিক্ত যৌনমিলনে ইচ্ছার অভিজ্ঞতা বিছানায় সব কাপলেরই নিশ্চিতভাবে হয়েছে। গরমকালে রাতে পোশাক পরে ঘুমাতে যাওয়াই দায়। যত খোলামেলা থাকা যায়, ততই আরাম। আর নরম বিছানায় পার্টনারের উন্মুক্ত শরীরের স্পর্শ যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়, তা বলাই বাহুল্য। সুতরাং বাকি রাতটা বন্য আনন্দে মেতে ওঠা অস্বাভাবিক নয়।

গ্রীষ্মে যৌন চাহিদা বাড়ার আরও একটি কারণ দিনের দৈর্ঘ্য। গরমে দিন যেমন শেষই হতে চায় না। তার উপরে উপরি পাওনা হিসেবে প্রত্যেক মানুষ আজ ঘরবন্দি করোনার ঠেলায়। শরীর চর্চা থেকে ভাল-মন্দ খাওয়া-দাওয়া, সবই চলছে লকডাউনে। তাতে ফিরছে শরীরে এনার্জিও। তাছাড়া কাছের মানুষটির সঙ্গে কথাবার্তাও বাড়ছে। তাই মিলনের জন্য স্বাভাবিকভাবেই আর সময় বাধা দিচ্ছে না।

গ্রীষ্মকালে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকলেও চোখের পাতায় ঘুম নামে না। এর কারণ মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ হ্রাস। এই হরমোনের ক্ষরণেই বেশি ঘুম পায়। কিন্তু রোদের তেজ বাড়লে শরীরে এই হরমোন উৎপন্ন হতে পারে না। ফলে ঘুম পায় কম। তার উপরে পরিশ্রমের পরিমাণটাও প্রায় নেই বললেই চলে তাই রাতের ঘুমও কমেছে মানুষের। আর রাত জাগা দুটি মানুষের একে-অপরের কাছে আসতে চাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। তাই দীর্ঘ হয় যৌন জীবনও।

Loading

Leave a Reply