শ্যামলেন্দু গোস্বামী,আরামবাগ ;- কোথায় কোথায় কে,কিভাবে লকডাউন ভাঙাচ্ছে, তা দেখতে ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনা নিল আরামবাগ পুলিস।আর তাতে যে চিত্র ধরা পড়বে, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিস সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু লকডাউন মানা হচ্ছে না বলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ ওঠে। একই সাথে আরামবাগের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অজুহাতে লকডাউন ভাঙার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিস যখন এলাকায় যাচ্ছে, তখন অযথা জটলা,জমায়েত বন্ধ হচ্ছে। চলে গেলেই আবার সেগুলি চালু হচ্ছে। লকডাউনে একপ্রকার যেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা চলছে পুলিসের। লকডাউন না ভাঙার জন্য বারবার আবেদন করলেও তাতে সাড়া মিলছে না। প্রয়োজনে তাঁরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন নির্বোধ মানুষগুলোর জন্য।
তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল সেরে ফেলেছেন আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, যে সমস্ত এলাকা থেকে লকডাউন ভাঙার খবর আসছে, তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।বিভিন্ন এলাকাগুলো বেছে নিয়ে সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে বিশেষ নজরদারির চালালো আরামবাগ পুলিশ। বিভিন্ন সময় ভাগ করে নিয়ে এইসব জায়গাতেই ড্রোন-চিত্র নেবেন থানার অফিসাররা। তার ভিত্তিতে সেখানে পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হবে। প্রয়োজনে সেখানে বিশেষ বাহিনী পাঠানো হবে যাতে লকডাউন যাতে ওই এলাকায় পুরোপুরি লাগু করা যায়।
আরামবাগ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে সমস্ত এলাকায় লকডাউন ভাঙ্গার বিশেষ অভিযোগ উঠছে সেই সমস্ত জায়গায় প্রাথমিকভাবে ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। আরামবাগের গৌরহাটি মোড়, বাজার, নেতাজি স্কোয়ার, কালিপুর মোড়ে বৃহস্পতিবার ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারি শুরু হয় তবে সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিসের হাতে যে সংখ্যায় ড্রোন রয়েছে, তা দিয়ে নাকি সমস্ত থানা এলাকায় নজরদারি সম্ভব নয়।
সেই কারণেই যেখান থেকে বেশি অভিযোগ বেশি আসছে, এমন বাছাই করা কিছু জায়গাতে তা পাঠানো হবে। পাশাপাশি বাড়তি ড্রোন পেতে অন্য সংস্থার সঙ্গে কথা বলবেন আধিকারিকরা। সবলিলিয়ে আরামবাগে এদিন ড্রোন উড়িয়ে নজরদারির উদ্যোগে খুশি পুলিশের প্রশংসা করছেন সচেতন মানুষ। তাদের দাবি, আগামীদিনেও মানুষকে বাঁচাতে পুলিশের এই উদ্যোগ থাকা জরুরি।