করণা আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। তবুও বিভিন্ন রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় বল প্রয়োগ করতে হচ্ছে পুলিশকে। দোকানপাট বন্ধ করার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। তবে এগুলো তো গেলো ছোটখাটো বিষয়। হুগলি জেলার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে হানা দিয়েছিলো আজ বাংলার ক্যামেরা।আর সেখানে যেতেই চক্ষুচড়কগাছ। এই লকডাউন এর মধ্যেই বহাল তবিয়তে চলছে হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরি।
যার মধ্যে রিষরার হিন্দুস্থান ফ্যাক্টরি, রাজহাটের কেমিকেল ডিটারজেন্ট, মগরার একটি ডিটারজেন্ট কারখানা। এই সমস্ত ফ্যাক্টরিতে দিনে কাজ করছে প্রায় কয়েক হাজার কর্মী একই সঙ্গে। বারংবার সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে এক জায়গায় অধিক মানুষের জমায়েত রাখা যাবে না। কিন্তু সেই সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহাল তবিয়তে চলছে এই কারখানাগুলি। এদিন সকালে যখন আজ বাংলার ক্যামেরা রাজহাট কেমেক্স ডিটারজেন্ট ফ্যাক্টরিতে গিয়ে পৌঁছায় তখন ফ্যাক্টরিতে প্রায় 100 জন কর্মী কাজ করছে। যদিও তাদেরকে দেখা গেল স্যানিটাইজার ব্যবহার করেই কারখানায় প্রবেশ করছে। তবুও লকডাউন এ কিভাবে এই কারখানা চলছে এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারলেন না কোন কর্মী।
তবে এই প্রসঙ্গে কারখানার তরফ থেকে ওম প্রকাশ চৌধুরী জানান জেলা শাসকের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়েই কারখানা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানান রিষড়ার গ্লাস ফ্যাক্টরিটিকে শ্রমিক সংখ্যা কমিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলোও আর দুটি ফ্যাক্টরি তার কাছ থেকে বা দপ্তর থেকে কোনরকম অনুমতি নেয়নি বলে জানান তিনি। তিনি আরোও জানান তবে খবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।