হাতে লক্ষীর ভাঁড় নিয়ে দুই ছাত্রী হাজির সটান পুরসভার চেয়ারম্যানের রুমে। উদ্দেশ্য ভাঁড়ে জমানো অর্থ করোনা মোকাবিলায় মুখমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করা। বীরভূমের সাঁইথিয়া শহরের এই দুই খুদে পড়ুয়া তাদের টিফিনের খরচ থেকে বাঁচানো টাকা জমিয়েছিল ভাঁড়ে। পুরসভার চেয়ারম্যানের হাত দিয়ে সেই টাকা স্বরূপ তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। আর এমন খুদে দুই পড়ুয়ার থেকে অনুদান পেয়ে অবাক সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান।জানা গেছে ওই দুই খুদে পড়ুয়ার মধ্যে একজন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অহনা দাস, সে সাঁইথিয়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দ্বিতীয়জন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রেয়া দাস, সাঁইথিয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
দুই পড়ুয়া বলছে, তারা স্কুলের টিফিন খরচের জন্য প্রতিদিন যে টাকা পেত সেই টাকার কিছু অংশ তারা দুজনেই নিজস্ব নিজস্ব লক্ষ্মী ভাঁড়ে সঞ্চয় করে রাখত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ যেভাবে কষ্ট পাচ্ছেন, সেই কষ্ঠ তাদের অন্তরকে ব্যথিত করে। এরপরই তারা সিদ্ধান্ত নেয় তাদের ওই সঞ্চিত অর্থ তারা ত্রাণ তহবিলে অনুদান প্রদান করবে।
সেইমতো এদিন তারা সেই টাকা তুলে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। তাদের বক্তব্য, আমাদের ছোট ছোট ভাই বোনেরা না খেতে পেয়ে কাঁদছে। তাই আমরা আমাদের সঞ্চয়ের টাকা তাদের জন্য দিলাম। তাদের এই ছোট্ট পদক্ষেপ সমাজের বয়োজ্যেষ্ঠদের আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিল আমরাও করতে পারি। আর এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমাজের বিশিষ্টজনেরা কুর্নিশ জানিয়েছেন ওই দুই খুদে পড়ুয়া।