বিজেপি মূলত হিন্দিভাষীদের দল বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে তারা পরিচিত নয়, সাধারণ মানুষের কাছে এই মত তুলে ধরতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সুপ্রিমো থেকে শুরু করে তাঁর দলের নেতা-নেত্রীরা বিভিন্ন সভা কর্মসূচিতে বিজেপিকে বহিরাগত তকমা দিতে বদ্ধপরিকর। এমনকি গেরুয়া শিবির কে বারবার বহিরাগত দল বলে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তাঁরা। এদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলকে পাখির চোখ করেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই শাসক দল যাতে বহিরাগত তকমা লাগিয়ে বিজেপিকে কুপোকাত করতে না পারে সেই সুযোগ না দেওয়ার জন্যই এখন থেকে প্রস্তুত হচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে রীতিমতো বাংলার শিক্ষক রেখে এরাজ্যের ভাষাকে রপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন অমিত শাহ। রাজনীতিতে চাণক্য বলে পরিচিত অমিত শাহের চালে একাধিক রাজ্যের মসনদ দখল করেছে বিজেপি।
কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পর্যটন কেন্দ্রের শাসক দল। চলতি বছর দিল্লি ও বিহারে ভোট রয়েছে। দুই জায়গাতেই ক্ষমতায় আসা বিজেপির পক্ষে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির এ রাজ্যে লোকসভা ভোটে ১৮ টি আসন পেয়ে জয়লাভ করার পর তাদের পালে ভালোই হাওয়া লাগিয়েছিল গেরুয়া শিবির ৷ কিন্তু সম্প্রতি এ রাজ্যের তিনটি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় রাজ্যের মানুষ মোদিতে আস্থা হারিয়েছেন। ভাই এক বছরের মধ্যে এই পরিস্থিতি ঘোরাতে মরিয়া অমিত শাহ। তাই সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে অমিত শাহ বাংলা ভাষাতেই ভাষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এমনকি এমনভাবে বাংলা ভাষা তিনি রপ্ত করতে চান যাতে কেউ বলতে না পারে বিজেপি নেতারা আসলে হিন্দি সংস্কৃতিতে বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ভোটের আগে বিভিন্ন জনসভায় স্পষ্ট বাংলায় ভাষণ দেওয়াই এখন লক্ষ্য অমিত শাহের।
- সন্ধ্যা নামলেই ভূতের আতঙ্কে ভীত সন্ত্রস্ত এলাকাবাসী
- গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
- ঝুলন্ত পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার
- সরকারি ভাবে ডেঙ্গু সচেতনতা করলেও প্রদীপের নিচেই অন্ধকার
- খুন হতে হল; বিবাহিত মহিলারা সাথে ভালোবাসার সম্পর্কের কারণে