রাজ্য

লাগাতার কর্মবিরতিতে নেমেছেন সরকারি পলিটেকনিক কলেজের চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা

লাগাতার কর্মবিরতিতে নেমেছেন সরকারি পলিটেকনিক কলেজের চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা। এরফলে অধিকাংশ পলিটেকনিক কলেজের যেমন জয়পুর, হিলি, রঘুনাথপুর, তেহট্ট, গয়েশপুর, মেদিনীপুর সদর, ঘাটাল, রানাঘাট ইত্যাদি পঠনপাঠন প্রায় বন্ধ।

তাদের দাবি ১) চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত ফাইল FT/0/5P-04/2018(part-1) এবং ET/0/5P-04/2018(part-2) অর্থমন্ত্রকের অনুমোদন সাপেক্ষে রূপায়নের প্রয়োজন।

২)আগস্ট ২০১৯ থেকে বেতন না পাওয়া চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের রিনুয়াল-এর সরকারি আদেশ নামা জারি করা এবং অবিলম্বে তাদের বকেয়া বেতন প্রদান নিশ্চিত করা। তাছাড়াও অবিলম্বে তাদের বকেয়া বেতন প্রদান সুনিশ্চিত করা ও বাকি সকল চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের রিনুয়াল – এর আদেশনামা জারির দাবিতে  তাদের এই লাগাতার কর্মবিরতি।

পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭৮টি পলিটেকনিক কলেজ আছে। যার অধিকাংশই চলে চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। ২০১৫ সাল থেকে যে সমস্ত পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে, সেইসব কলেজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে এই চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মীরা।এবং কলেজের বিভিন্ন বিভাগ যেমন ল্যাবরেটরি, অফিসিয়াল কর্মযজ্ঞ সমস্ত দক্ষতার সাথে পালন করে এসেছেন এঁরা। চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতন কাঠামোর কোনো পরিবর্তন হয়নি দীর্ঘ সাত/আট বছর। সরকারি শিক্ষক,শিক্ষা কর্মীদের তুলনায় চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বেতনের ফারাক প্রায় ৪৫থেকে ৫০ হাজার টাকা।যদিও তাঁরা এক‌ই সময় ও দক্ষতা দিয়ে চলেছেন।সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে গত ছয়মাস যাবৎ চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কোনো বেতন পাননি। বারবার কারিগরী শিক্ষাদফতরের সাথে কথা বলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বারবার কারিগরি শিক্ষা দফতর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আন্দোলনরত চ্যুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , ছয়মাসের বেতন না পাওয়া, আর্থিক বঞ্চনার থেকে মুক্তি না দেওয়া এবং বেতন কাঠামোর সন্তোষজনক সংশোধন না হ‌ওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।

Loading

Leave a Reply