৬ বছর ধরে শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার কথা শুনছি। এসব গল্পই। একথা আর শুনতে চাই না। বৃহস্পতিবার চন্দননগরে আদি মায়ের কাছে এসে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এবার নিয়ে পরপর তিনবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় আদি মায়ের কাছে এলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ চুঁচুড়া খাদিনামোড়ে আসে দিলীপবাবুর কনভয়। সেখানে দলীয় কর্মীরা মিছিল সহযোগে দিলীপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে চন্দননগর চাউলপট্টিতে আদি মায়ের পুজো মন্ডপে উপস্থিত হন। প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যেই তিনি সেখানে উপস্থিত হন। দিলীপবাবুর পাশাপাশি ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী, রাজ্য নেতা স্বপন পাল, হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জী, যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ সহ অন্যান্যরা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পরপর তিনবার আমি আদি মায়ের কাছে এলাম।
এরপরই বর্তমানে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে বলেন, ওটা ওদের দলের ব্যাপার। ওটা নিয়ে আমরা আগ্রহী নই। তবে যারা পরিবর্তনে সহযোগী হতে চান তাঁদেরকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
যদিও শুভেন্দুর দল ছাড়ার ইঙ্গিত প্রসঙ্গে দিলীপ বাবুর কটাক্ষ, আমি ৬ বছর ধরে এরকম গল্প শুনছি। এটা আর আমার শোনার ইচ্ছা নেই। দিলীপবাবুর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক জল্পনা, শুভেন্দুর প্রতি কি আশা হারাচ্ছে বিজেপি? পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে করা মন্তব্য নিয়ে দিলীপবাবু বলেন আমার মনে হয় মুখ্যমন্ত্রী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে একথা বলেছেন। কারণ প্রশান্ত কিশোর বহিরাগত। আর ওকে দিয়ে কাজ হচ্ছে না।
অন্যদিকে এদিন সিপিএমকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপবাবু। তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, আমরা যেদিন ক্ষমতায় আসবো সেদিন আর বামেদের অস্তিত্ব থাকবে না। অন্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও বামেদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।