দল বিরোধী কাজের জেরে প্রশান্ত কিশোর কে বহিস্কার করল তার দল জেডিইউ। বেশ কিছুদিন ধরে সিএএ নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সাথে নীতীশ কুমারের মতপার্থক্য চলছিল। শেষ পর্যন্ত সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিতিশ কুমার দল থেকে বহিষ্কার করলেন প্রশান্ত কিশোরকে। উল্টো দিকে মুখ্যমন্ত্রী কে মিথ্যেবাদী আখ্যা দিলেন পিকে। জেডিইউ নেতা অজয় আলোক বলেন পিকে বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি মমতার সঙ্গে গাঁটছড়া করেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে বসে থাকেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন। কাজেই তিনি কোনোভাবেই অমিত শাহ বা নীতিশ কুমারের বিশ্বাসভজন হতে পারেন না। দল থেকে এইরকম ভাইরাস বেরিয়ে গিয়ে দলের উপকার হয়েছে।
নীতিশ কুমার কয়েক দিন আগেই ভোটগুরুকে বলেছিলেন, “চাইলে ধরে থাকুন, নইলে বেরিয়ে যাও।” এনডিএ-র প্রধান শরিক বিজেপিকে প্রশান্ত কিশোর লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন। যা মেনে নেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হয়নি জেডি (ইউ) JD (U) সভাপতির পক্ষে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে, নীতিশের দল ছেড়ে পিকে যোগ দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে।অমিত শাহের কথায় প্রশান্ত কিশোরকে দলে নিয়েছিলেন তিনি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের তাঁকে আক্রমণ করে টুইট করেন প্রশান্ত কিশোর। টুইটে তিনি লেখেন, “জনতা দল ইউনাইটেড প্রধান আমার দলে যোগ দেওয়া নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন। দুর্বল ভাবে নিজের রঙে আমাকে মেলাতে চাইছেন নীতীশ। আপনি সত্যি বললে এটা বুঝতে হবে আপনার মধ্যে অমিত শাহর পছন্দের লোকের বিরোধিতা করার সাহস এখনও আছে।” জাতীয় রাজনীতির কারবারীদের মতে, এমন আক্রমনাত্মক বাক্যবাণের পর আর প্রশান্ত কিশোরকে বহিষ্কার করা ছাড়া নীতিশ কুমার আর কোন পথ ছিল না।