একজন সফল অভিনেতার রাজনীতিতে আসা ঠিক নয় ।সাধারণ মানুষের সাথে এমনটাই মনে করছেন অভিনয় জগতের বেশকিছু মানুষ। সাধারণভাবে দেখা যায় শিল্পীসত্তার মধ্যে একটা অসামান্যতা লক্ষ্য করা যায়। আর রাজনৈতিক মানুষদের মধ্যে যা দেখা যায় তা বলাই বাহুল্য। সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভালো চোখে দেখে না। বাংলায় একটা কথা আছে, পচা আলুর সাথে থাকলে ভালো আলুও পচে যায়। ঠিক সেরকমই রাজনৈতিক জগতটা নোংরা হয়ে পড়ছে অল্প কিছু মুষ্টিমেয় রাজনৈতিক ছাড়া বেশিরভাগের মাথায় কলঙ্কের বোঝা। আর তাপস পালের মতো অভিনেতারা অভিনয় জগতে সৃষ্টিশীলতার জন্য মানুষের চোখে অমর।
কিন্তু শেষ জীবনের রাজনৈতিক দিকটা একদমই ভালো যায়নি তাপস পালের জন্য। মানুষের চোখে অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডের জন্য তাপস পালকে জেল জীবনও অতিবাহিত করতে হয়। তাই অনেকেই মনে করছেন, তাপস পাল রাজনীতিতে না আসলেই ভালো হতো। এমনকী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র জানান, শিল্পীদের বোধহয় রাজনীতি করা উচিত নয়। সকাল থেকেই এই কথাটা মাথায় ঘুরছে। তাপস পালের মতো একজন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার শেষ জীবনটা কী এমন হওয়ার কথা ছিল? চিত্র পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী বলছেন, তাপস পাল রাজনীতিতে না এলেই ভালো করত। উল্লেখ্য, অভিনেতা তাপস পাল মঙ্গলবার ভোর রাতে মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ এসে হাজির হয় কলকাতাতে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে অভিনয় জগৎ।