সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের জেরে আর্থিক মন্দা তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই অর্থনীতিতে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছে করোনা। আমেরিকার মত দেশের আর্থিক পরিকাঠামো ধসে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল।কেন্দ্রর তরফ থেকে জানানো হয়েছে এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে ডিএ বকেয়া রয়েছে। আগামী বছরের ১ জুলাই পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হবে।মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা সামলানোর জন্যই সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে ৪৮.৩৪ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও ৬৫.২৬ লক্ষ পেনশনভোগীর উপর প্রভাব পড়বে।
বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। সমাজের গরিব ও প্রান্তিক মানুষগুলো সব থেকে সংকটে পড়েছেন। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ করা জরুরি।
“এই প্রেক্ষাপটেই সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ১ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ফ্রিজ (স্থগিত রাখার) করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” নোটিফিকেশনে আরও বলা হয়েছে, ১ জুলাই ২০২১ থেকে ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স ও ডিয়ারনেস রিলিফ ফের বাড়ানো শুরু হবে। তবে তা হবে প্রস্পেকটিভ হারে। অর্থাৎ দেড় বছরে যে বকেয়া হল তা তখন হিসাবে ধরা হবে না। এখন দেখার কেন্দ্রের এই ঘোষণার ফলে বিভিন্ন রাজ্য সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয়। এমনিতেই কেরল সহ কয়েকটি রাজ্য কর্মীদের বেতনের কিছু অংশ কাটা হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ জোটে কেন্দ্রের অনেকটাই পড়ে এবং কেন্দ্রের তুলনায় অনেকটাই কম। বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে খরচ বেড়ে যাওয়া অন্যদিকে রাজস্ব আদায় একেবারে তলানিতে চলে যাওয়ায় কিভাবে সরকারি কর্মচারীদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেতন দেবে তা যথেষ্ঠ চিন্তার বিষয়। এই পরিস্থিতিতে যদি রাজ্য সরকারি কর্মীদের ওপরও কোপ পড়ে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তার রাজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না। এখন দেখার কেন্দ্রের ঘোষণার পর এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয়।