দেশ

সরকার ভাঙা প্রসঙ্গ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর মাঝেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন। কিন্তু কেন??

বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে পুনরায় ফোন করেছিলেন। কিন্তু কেন ফোন করেছিলেন তা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই সরকার ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।এই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। একই পরিস্থিতি রাজ্যের। রাজ্য করোনাতে প্রতিদিনই প্রায় নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। তারপরেও রাজ্যে সেই অর্থে লকডাউন একপ্রকার উঠে গেছে। বাজারের হাট বাজার প্রায় সমস্ত খোলা।

যথেচ্ছভাবে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ডামাডোল অব্যাহত। তখনই আমফান এবং তার পরবর্তী ঝড়ে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ লন্ডভন্ড। এখনো রাজ্যের সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেছেন। সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহের সঙ্গে কি কথা হয়েছে, তার একটি তথ্য তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। যেখানে তিনি বলেন, “আমি অমিত শাহকে বলেছিলাম, আপনারা যদি মনে করেন আমরা পারছি না, তাহলে আপনি দায়িত্ব নিন। আর তখন উনি আমাকে বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ভাঙব কি করে!” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলার পরেই বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।

তিনি বলেছিলেন, “ক্ষমতা থাকলে এক ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার ছেড়ে দিন। আমরা দেখিয়ে দেব কি করে পরিস্থিতি সামলাতে হয়!” আর এমতাবস্থায় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের পরই নানা মহলে তীব্র জল্পনা ছড়ায়। তাহলে কি সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে কিছু বলার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন অমিত শাহ? কিন্তু না। মূলত কিভাবে লকডাউন করা হবে, তা নিয়েই প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতামত জানতে চাওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মতামত জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেই সূত্রের খবর।

Loading

Leave a Reply