রাজ্যে কর্মসংস্কৃতির হাল ফেরাতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বনধ সমর্থন তুলে দিয়েছেন রাজ্য সরকার। কেউ বনধে সামিল হলে তার চাকরি জীবন থেকে একদিন ও একদিনের বেতন কাটা যাচ্ছে। অথচ সেই সরকারই সরস্বতী পূজা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন ছুটি ঘোষনা করলেন।এতে রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি কতটা অগ্রগতি হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিজেদের দাবি আদায়ে একদিন বনধে সামিল হলে যেখানে মাহিনা কাটা হয়, সেখানে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে টানা 5 দিন ছুটি কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
প্রথমে সরকারি ক্যালেন্ডারে ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, তিথি অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি এবং ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো। তাই পুজোয় আদৌ অফিস যেতে হবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই বিতর্কের অবসান করল নবান্ন। প্রথমে রাজ্য সরকার ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ছুটি দিয়েছিল। পঞ্জিকা মতে চলতি বছর ২৯ এবং ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো। স্কুল, কলেজ, বাড়িতে ২৯ জানুয়ারিই মূলত বাগদেবীর আরাধনা করা হবে। তাই সেক্ষেত্রে কীভাবে পুজো সামলে অফিস করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। ওইদিন কী তবে অফিস সামলেই পুজো করতে হবে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। সমস্যা মেটাতে নতুন নোটিস জারি করল রাজ্য সরকার।
নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ২৯ জানুয়ারি, বুধবার এবং ৩০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ছুটি। যেকোনও পুজোর পরেরদিনও ছুটি দেয় রাজ্য সরকার। তাই ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবারও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরেরদিন ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার এবং ২ ফেব্রুয়ারি, রবিবার হওয়ায় ওই দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। তাই সরস্বতী পুজো উপলক্ষে পরপর মোট পাঁচদিন ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এই নোটিশ জারির পর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন। তারা বলছেন খেলা-মেলা কিছু একটা পেলেই সরকার মেতে ওঠে। তখন কর্মসংস্কৃতি কথা মনে থাকেনা। একদিন বনধে আটকাতে বছরে দশ দিন ইচ্ছামতো ছুটি ঘোষণা করে। আসলে কর্মসংস্কৃতি নয় রাজ্যজুড়ে কর্ম-অপসংস্কৃতি চলছে।