যত্রতত্র পড়ে রয়েছে লিফলেট। আর তা হাতে নিয়েই অবাক সাধারণ মানুষ। লিফলেটে লেখা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার ছাতা ব্যবহার করুন, এমনটাই আর্জি অণ্ডাল ব্লক প্রশাসনের। বিভিন্ন রেশনের দোকানে, ব্যাঙ্কের সামনে, বাজারে এই সংক্রান্ত লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনের দাবি, অনেক সময়ে এক মিটারের দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু পাশাপাশি থাকা দুজন বাসিন্দাই যদি পৃথক ছাতা ব্যবহার করেন, তাহলে খুব সহজেই এই দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এই অভিনব পন্থাকে সমর্থন করেছেন ব্লকের বাসিন্দারা।
অণ্ডাল ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ছাতা ব্যবহার করলে এমনিতে অন্যজনের সঙ্গে একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়, এক্ষেত্রে দুপক্ষ ছাতা ব্যবহার করলে সেই সামাজিক দূরত্ব আরও বাড়বে। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে কার্যকর হবে। এমনিতেই গ্রীষ্মকালে অনেকে ছাতা ব্যবহার করেন। এবার সবাই এটা করলে খুবই ভালো হয়। তাই আমরা সব জায়গায় লিফলেটের মাধ্যমে এই আবেদন রাখছি। করোনার এই অবস্থায় প্রথম থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার জোর দিচ্ছে দুটি বিষয়ের উপর। হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়েই দেশে অর্থনীতির বিপর্যয়কে সহ্য করেই লকডাউন করতে হয়েছে। চেষ্টা করেও অনেকে এক মিটার বা দুমিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে পারছেন না। বিশেষ করে ভিড় বাজারে অথবা রেশন বা ব্যঙ্কের লাইনে যতই গণ্ডি কাটা থাক, তাঁরা তা অতিক্রম করে সামনের মানুষের কাছে চলে আসছেন। এনিয়ে অনেক সময়ে বাকবিতণ্ডাও হচ্ছে। এই সব সমস্যা সমাধানে অভিনব পদ্ধতি বাতলেছে অণ্ডাল ব্লক প্রশাসন। তাদের দাবি, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ছাতাই হাতিয়ার। তাই তারা সব জায়গায় বাসিন্দাদের আবেদন করছে ছাতা ব্যবহারের জন্য। প্রথমে তাদের ভাবনা ছিল ব্লকে ছাতা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা। কিন্তু যাদের ছাতা নেই তারা যদি আবার ছাতা নিতে ব্লক অফিসে হাজির হয়, এই আশঙ্কা থেকেই তারা অর্ডার হিসেবে না করে মানুষের কাছে আবেদন রেখেছে। তবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে ওই এলাকার মানুষ।