এক রামে রক্ষে নেই, সুগ্রিব দোসর। করোনার জেরে একদিকে যখন বিধ্বস্ত অবস্থা ভারতের, অর্থনীতির কঙ্কালসার চেহেরা। ঠিক তখনই সীমান্তে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। গত দুদিন ধরে চীনের ফাইটার জেট চক্কর কাটার দৃশ্য ধরা পড়েছে। সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে চীনের আকাশপথে হঠাৎ করেই যুদ্ধ বিমানের সক্রিয়তা বাড়িয়ে ভারতকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে তারা। এদিকে তৈরি রয়েছে ভারতও। ইতিমধ্যেই লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডে বেশি করে সেনা সমাবেশ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, চীন অন্তত ১২টি ফাইটার জেট লাদাখের ঠিক উল্টোদিকে চীনের দখলে থাকা এয়ারস্ট্রিপে মোতায়েন করেছে। মাঝেমধ্যেই তারা চক্কর কাটছে ভারতীয় সীমান্তের কাছে। গোটা বিষয়টি ভারত কড়া নজরদারিতে রেখেছে। লে এয়ারবেসে ভারতের যুদ্ধবিমানও মোতায়েন রয়েছে।
পাশাপাশি কাশ্মীর থেকে সেনা সরিয়ে অতিরিক্ত বেশ কিছু বাহিনীকে নিয়ে আসা হচ্ছে লাদাখে। এতদিন শুধুই সেনার কনভয় যাচ্ছিল লাদাখ সীমান্তের দিকে, এবার সেনাবাহিনীর সাপ্লাই লাইন শক্তিশালী করতে লাগাতার গাড়ির কনভয়কে যাচ্ছে, লাদাখ ও লে’র দিকে।চীন সীমান্তে সেনা এবং কর্মী পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রক সম্প্রতি রেলমন্ত্রকের কাছে ১১টি ট্রেন চেয়েছে বলেও বিশেষ সূত্রে খবর। ওই ১১টি ট্রেন লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিমের চীন সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় পৌঁছচ্ছে সেনা, কর্মী ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে। সামগ্রিকভাবে লাদাখের চীন সীমান্ত এখন উত্তপ্ত।
চীন একদিকে নিজের আগ্রাসী মনোভাব ক্রমাগত বাড়িয়েই চলেছে, আবার অন্যদিকে, শান্তি ও সুস্থিতির বার্তাও দিয়ে চলেছে। সোমবার চীনের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে পুনরায় বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত শান্তিপূর্ণই রয়েছে। উভয় পক্ষের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, সেটা আলোচনার মধ্যে দিয়েই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। অর্থাৎ আলোচনার রাস্তা খোলা। চীন এই শান্তিপূর্ণ আলোচনার বার্তা দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্ররোচনামূলক বার্তা দিচ্ছে তারা।