রাজ্য

সূক্ষ্ম স্যানিটাইজারের কণা দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকবে বাতাসে, ফলে জীবাণুমুক্ত হবে এলাকা, নতুন আবিষ্কারে চমক সিএমইআরআই-এর

এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজেশনের বিশেষ ইউনিট তৈরি করে নজর কাড়ল দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট(সিএমইআরআই)। বিশেষ সূক্ষ্ম স্যানিটাইজারের কণা বেশিক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকার জেরে দীর্ঘক্ষণ ধরে এলাকা জীবাণুমুক্ত থাকবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রাক্টর মাউন্টিং স্যানিটাইজিং ইউনিটের মাধ্যমে রাস্তা ও তার আশপাশের অংশ সহ দূরবর্তী এলাকাতেও বিশেষ স্যানিটাইজার স্প্রে করা যাবে। তাই করোনা মোকাবিলায় সিএমইআরআই-এর এই আবিষ্কার অন্যতম ভরসা হতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।



সিএমইআরআইএর অধিকর্তা হরিশ হিরানি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ইতিমধ্যেই আসানসোল পুরসভা এই বিশেষ ইউনিট চারটি প্রস্তুত করার অর্ডার দিয়েছে। তবে, আমরা করোনা মোবাবিলায় বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত করা শুরু করলেও, তার গুণগত মান যাচাই করার জন্য কোনও টেস্টিং ফেসিলিটি না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা রিসার্চ ইউনিট হিসেবে কাজ করছি। কিন্তু যে নতুন জিনিস প্রস্তুত হচ্ছে, তার কার্যকারিতা নিয়ে শংসাপত্র দেওয়ারও প্রয়োজন।


করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবার পরিবেশ জীবাণুমুক্ত করতে এগিয়ে এল সিএমইআরআই। বিভিন্ন জায়গায় স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে। কোথাও দমকলের গাড়িতে কোথাও আবার ট্যাঙ্কার থেকে জল দেওয়ার পরিবর্তে নজেল লাগিয়ে স্প্রে চলছে। এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দাবি, অনেক ক্ষেত্রে সেই সব নজেল থেকে নির্গত স্যানিটাইজারের কণা সাই঩জে বড়ো হওয়ায় জলকণার মতো দ্রুত মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। এতে বাতাস বেশিক্ষণ ধরে জীবাণুমুক্ত থাকছে না। কিন্তু এক্ষেত্রে সুক্ষ্ম কণা অনেকক্ষণ ভেসে থাকতে পারে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তিন হাজার লিটারের ট্যাঙ্কারে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা জীবাণুমুক্ত করা যাবে। এমনকী ওই সুক্ষ্ম স্যানিটাইজার বহুক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকবে। ফলে পুরো এলাকা অনেক সময় অবধি জীবাণুমুক্ত থাকবে। ইতিমধ্যেই এই আবিষ্কারের প্রশংসা করছেন সকলেই। আগামীদিনে এটি যথেষ্ট উপযোগী হতে চলেছে বলে সকলের মত।

Loading

Leave a Reply