মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। এগিয়ে চলার চেষ্টা করে নতুন পথের সন্ধানে। সর্বপ্রথম সারাবিশ্বকে করোনার খবর শুনিয়েছিল চীন। চীনে শুরু হয়েছিল প্রথম এই রোগের প্রকোপ। তারপর হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে মারা গেছেন কয়েক হাজার মানুষ।তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনি ইতালি। বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে ইতালিতে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের সকলেরই একই মত।একই ভুল করেছে আমেরিকা। এখন তার মাশুল গুনছে তারা।
এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যা 0 ছিল তখন থেকেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউন ঘোষণা করার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম 31 মার্চ পর্যন্ত সারা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী 14 এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করার পরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে একই অনুরোধ রেখেছিলেন। তারপরেও অনেক ভারতীয় ও বাংলার মানুষের চেতনা জাগ্রত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এখনো অনেকেই তার এলাকায় কেউ আক্রান্ত হয়নি ভেবে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দিচ্ছেন, দেদারে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ভাবছেন তার বোধহয় কোন চিন্তা নেই।
এই একই ভুল করেছিল যে সমস্ত দেশ আজ তারা তার ফল ভোগ করছে। অন্তত এখনো সমস্ত মানুষ লকডাউন সফল করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গৃহবন্দি থাকুন।মুখ্যমন্ত্রী সাবধান করে বলেন, ‘সেদ্ধ ভাত আর ডাল খান। এটা লাটসাহেবি দেখানোর সময় নয়।’ এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে ভারতবর্ষ কোন জায়গায় দাড়াবে তা নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের ওপর। অনেকেই বলছেন পুলিশ একটু ঢেলে দিতেই সাধারণমানুষ যথেচ্ছভাবে রাস্তায় নামছেন। কোন কোন এলাকাকে দেখে মনে হচ্ছে না দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। এখন দেখার ভারতীয়দের বোধহয় হয়,নাকি ইতালি, আমেরিকার পথেই এগিয়ে যাই ভারতবর্ষ।