মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক ইন্সপেক্টর নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন। বৃহস্পতিবার বারাকপুরে লাটবাগান এ পুলিশ কোয়াটার স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। অশান্তির পর স্ত্রী তাঁর মেয়েকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলে ওই ইন্সপেক্টর নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন। প্রতিবেশীরা তাকে ব্যারাকপুর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্ত্রী বাড়ি ফিরে শাশুড়িকে বের করে দিয়ে তালা দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বছর ৪৩ এর বিশ্বজিৎ দত্ত বিশ্বাস ব্যারাকপুর লাটবাগানের পুলিশ কোয়াটারে থাকতেন। ব্যারাকপুরে স্পোর্টস চলার সময় হঠাৎই গুলির শব্দ শোনা যায় পুলিশ কোয়াটার থেকে। তড়িঘড়ি প্রতিবেশীরা বিশ্বজিৎ বাবুর কোয়াটারের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বিশ্বজিৎ বাবু।
তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বি এন বোস হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গেছে তার আদি বাড়ি নদীয়ায়। তবে বহু বছর আগে নদীয়া থেকে তিনি দক্ষিণেশ্বরে চলে আসেন। ২০০৫ সালে পুলিশের চাকরি পান। তারপর থেকে বারাকপুরের লাটবাগান পুলিশ কোয়াটার সপরিবারে থাকতেন। আট বছর আগে বিশ্বজিৎবাবু বিয়ে করেন জয়শ্রী দত্ত বিশ্বাসকে। এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় বিবাহ। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে শাশুড়ির সঙ্গে প্রায়ই বউমার ঝামেলা লেগে থাকত। মায়ের সঙ্গে স্ত্রীর ঝামেলার কারণে ব্যারাকপুর তালপুকুর একটি আলাদা ফ্ল্যাট কেনেন বিশ্বজিৎবাবু। সেখানেই তাঁর মা থাকতেন। পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
করোনা ভাইরাস এর উপসর্গ থাকা লোকজনের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের সর্বত্র কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন। তাই প্রতিটি এলাকার বিভিন্ন বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি হল ও স্টেডিয়াম অধিগ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে বিভিন্ন দলের তরফে কলকাতার পাশাপাশি জেলা মহকুমা ও ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার […]