আমার খেয়ে আমার পরে আমার বাড়িতে এসেই মেরে গেল। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন জীবনটা শেষ করে দিল। আমি এর বিচার চাই৷ স্ত্রী ও শ্যালকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে ভিডিও বার্তায় আক্ষেপ প্রকাশ করে আত্মঘাতী হলেন নাদনঘাটের এক যুবক। ওই ভিডিও বার্তায় তিনি অভিযোগ করেছেন স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়িতে এসে সকলের সামনে মারধর করেছে। এই ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। জানা গেছে মৃত যুবকের নাম অর্জুন দেবনাথ।
তাঁর বাড়ি নাদনঘাটের ভাতশালা গ্রামে। যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফেরার রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অর্জুন পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। বছর পাঁচেক আগে পার্শ্ববর্তী রাজাপুর গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। অর্জুন বছর পাঁচেক আগে পাশের রাজাপুর গ্রামে বিয়ে করেন। তিনি কাজে গেলেই তাঁর স্ত্রী বাপেরবাড়ি চলে যেতেন। বছর খানেক ধরেই সংসারে অশান্তি চলছিল। লকডাউনের পর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। ১৮ সেপ্টেম্বর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। তারপরেই রাগে শিশুকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে যান অর্জুনের স্ত্রী।
পরেরদিন দুই দাদাকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। সেই সময়ে অর্জুনকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে তারা। প্রতিবেশীদের সামনেই এই ঘটনা ঘটায় অপমানিত বোধ করেন অর্জুন। তারপরেই স্ত্রী বিষয়টি মৌখিকভাবে নাদন ঘাট থানার জানান। তা নিয়ে এক পুলিশ অফিসার অর্জুনকে থানায় ডেকে সতর্কও করেন। তারপরই ভিডিও রেকর্ড করে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন অর্জুন। সোমবার রাতে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।