স্বাধীনতার পর চলতি আর্থিক বছরে বৃহত্তম অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে চলেছে ভারত। তবে একথা কোনও বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের নয়। এই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে মাইনাস ৯ শতাংশ। শেষবার ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার নেগেটিভ হয়েছে ১৯৭৯-৮০ আর্থিক বছরে। সেবার একদিকে ছিল অনাবৃষ্টি, অন্যদিকে ইরানে বিদ্রোহের কারণে তেলের আকাশছোঁয়া দাম। এই দুই সংকটের কারণে সেবার আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল মাইনাস ৫.২ শতাংশ। যা ভারতের অর্থনীতিকে চরম সংকটে ফেলে। তারপর অবশ্য জনতা সরকারের পতন ঘটে।
১৯৯১ সালে উদারীকরণের পর আজ পর্যন্ত কখনো নেগেটিভ জিডিপি গ্রোথ হরমোন ব্যয় করতে হয়নি ভারতবর্ষকে করোনা লকডাউন এর আগেই ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল নিম্নগামী। সামলাতে নানা রকম ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছে অর্থমন্ত্রক। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এই মুহূর্তে লকডাউন উঠে গেলেও সামগ্রিক জীবিকা, আর্থিক লেনদেন ও শিল্প-বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়নি। ফলে অর্থনীতির উন্নতির আশা করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের রিপোর্ট আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক লগ্নি ব্যাপকহারে ধাক্কা খাবে।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যাপক ঘাটতি আসবে। এর ফলে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক জাপানের জায়গাসহ ইত্যাদি ঋণ প্রদানকারী সংস্থা গুলির লগ্নিতেও প্রভাব পড়তে পারে। তবে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে এডিবি। তাদের দাবি যদি এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে শুরু হয়ে যায় তাহলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভব হবে। ২০২২ সালের মধ্যেই ৮ শতাংশের আর্থিক বৃদ্ধির হার স্পর্শ করতে পারে ভারতবর্ষ।