দেশ

স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা বাজেটে, তবে রয়েছে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন

কেন্দ্রীয় বাজেটে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিলেন। তিনি জানান চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়লে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পেতে কোনও সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি জেলাতেই মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হবে। জেলার প্রতি হাসপাতালেই হবে মেডিক্যাল কলেজ। এছাড়াও বাংলায় যেমন ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান আছে, সারা দেশ জুড়ে এই ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু করা হবে। নির্মলা সীতারামন বলেন, প্রতিটি জেলার হাসপাতালের সাথেই মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হবে। যার জন্য ৬৯ হাজার কোটি টাকা এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, এমন কিছু জেলার মানুষ আছে যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে ওঠে। সামান্য চিকিৎসার জন্য, তাদের অনেক দূর পর্যন্ত যেতে হয়।

এছাড়াও দেশের জেনারেল ফিজিশিয়ান এবং কোন স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের অভাব আছে। মেডিক্যাল কলেজের মাধ্যমে চিকিৎসক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পিপিপি মডেলে স্থান পেয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান সারা দেশের সমস্ত জেলায় চালানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আয়ুষ্মান ভারত নামে একটি প্রকল্পের আওতায় অাছে যে সমস্ত জেলাগুলিতে কোন হাসপাতাল নেই সেই জেলাগুলিতে হাসপাতাল খোলার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি অারও বলেন সরকারি হাসপাতাল না থাকায় বা চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা না পাওয়ার জন্য অনেক সময় বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয়। চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়লে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা হবে। এখন দেখার কত দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প গুলি চালু হয়।

তবে, সমালোচকরা যদিও এই ব্যাপারটি নিয়ে বেশ কিছু সমালোচনা করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। আর চিকিৎসা শাস্ত্রের মতো শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি দেখা যাবে। সাধারণ কলেজগুলিতে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা দিনদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চাকরির হাহাকার চলছে। কিছু কলেজে পড়াশোনাও হচ্ছে সেইরকমই নিম্নমানের। এরপর মেডিক্যাল কলেজের মতো কলেজগুলোতেও দুর্নীতি দেখা যাবে। এখনকার সময়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে পড়াশোনায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর চিকিৎসকের জন্য পড়াশোনা করতে পারে।কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজে যদিও টাকা দিয়ে পড়াশোনা হয়। সারাদেশে যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছেয়ে গেছে। আর চাকরির অভাবে বহু ইঞ্জিনিয়ার ঘরে বসে আছে। শেষমেষ চিকিৎসকদের এই বেহাল দশা হবে। আর এর ফলে কেবলমাত্র চিকিৎসকদের জীবন নষ্ট হবে তাই নয়। ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকছে।তবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতির দিকে নজর রাখছে সাধারণ মানুষ।

Sponcer

Loading

Leave a Reply