কথায় বলে, লোকে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না! আমাদের মনুষ্যসমাজেরও সেই স্বভাব। নির্বিচারে গাছ কেটে বসতি বানিয়েছি। বাণিজ্যিক পশুপালনের জন্য বিঘের পর বিঘের জঙ্গল এক্কেবারে সাফ। সাপ-ব্যাঙ-ইদুর-বাদুর খাবার তালিকা থেকে বাদ যায়নি কিছুই। বহাল তবিয়তে দিব্য পরিবেশ ধ্বংস করে মনুষ্যত্বের জয়ধ্বজা উড়িয়েছি। কিন্তু প্রকৃতি বেচারাই বা আর কাঁহাতক এই অত্যাচার সহ্য করে! আর তাই এ বার তার প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। নির্বিচারে বণ্যপ্রাণীর ব্যবসা, বন ধ্বংস যে ভাবে চলছে, তাতে করোনাভাইরাসের দাপটে পৃথিবী তার নিজের রূপ ফিরে পেতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রকৃতি তার অপরূপ সাজে সেজে উঠেছে।
এবার প্রকৃতির সাথে পশুপাখিদের অবাধ বিচরণ ঘটাতে উদ্যোগী হল শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি। আরামবাগ রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় পাখিদের থাকার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ‘পাখিবাগান ‘। উস্তি সূত্রে জানা গেছে, তাদের এই সংগঠনের সদস্যরা এই কাজে সহমত পোষন করেন। আর তাতেও উৎসাহ যুগিয়েছে আরামবাগ রেল দপ্তর ও আরামবাগ বিডিও। তারা এখানে বেশ কয়েক ধরনের গাছ লাগাচ্ছেন। একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে একই সাথে পাখিরা এসে এখানে বসবাস করতে পারবে। ফলে প্রকৃতির সাথে পাখিরাও তাদের নিজস্ব বাসস্থান খুঁজে পাবে। যেহেতু রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা ফাঁকা জায়গা যেখানে দূর-দূরান্তের মানুষ আছেন তাই তাদের এই উদ্যোগ। রীতিমত এই বাগানে নজরদারি থাকবে।
পাখির কুজন মন ভরিয়ে তুলবে সাধারণ মানুষের। পুরনো দিনের হারিয়ে যাওয়া সেই পাখির কুজন মোহিত করে তুলবে এলাকাকে, এমন দিনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন পুরবাসী। আর কত দ্রুতইবা পাখিরা তাদের শান্তির নীড় খুঁজে পায় সেই দিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।