খোলা পাতকুয়োয় পরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম রমেশ দাস(৪৭)। বাড়ি চুঁচুড়ার সত্যপীরতলায়। সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার দেবীপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেনলাইনে চুঁচুড়া ও চন্দননগর স্টেশনের মাঝে রেললাইনের পার বরাবর দেবীপুর এলাকা। সেখানেই রয়েছে একটি এলপিজি গ্যাস গোডাউন। সেই গোডাউনেরই একটি খোলা পাতকুয়োর মাত্র ফুটখানেক উঁচু বেদিতে বসেছিলেন রমেশবাবু। হঠাৎ করেই তিনি ওই কুয়োর মধ্যে পরে যান। প্রথম দিকে বিষয়টি সকলের অজানা থাকলেও রমেশবাবুর একপাটি চটি কুয়োয় ভেসে উঠতে দেখে এলাকাবাসীদের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চুঁচুড়া থানা ও দমকলের একটি ইঞ্জিন। এরপর দমকর্মীরাই ওই কুয়ো থেকে ওই ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
প্রথমদিকে পরিচয় জানা না গেলেও পরে জানা যায় মৃতদেহের নাম রমেশ দাস। পেশায় রাজমিস্ত্রী চুঁচুড়ার সত্যপীরতলার বাসিন্দা। স্থানীয়দের বক্তব্য দেবীপুরেই বেআইনি চোলাই মদ বিক্রি হয়। বহু মানুষ সেখান থেকে মদ কিনে গোডাউনের ওই কুয়োর পাশে বসে খায়। গোডাউন মালিক কিছুই বলেন না। সোমবারও হয়তো সেরকমই কিছু ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি তাঁরা বলেন পাতকুয়োটি কমপক্ষে ঢাকা থাকলে বেঘোরে একজনের প্রান যেতো না। একই বক্তব্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শম্ভু মালিকেরও। তিনি বলেন এবিষয়ে এর আগে গোডাউন মালিককে বারংবার সতর্ক করা হলেও তিনি ব্যাবস্থা নেননি। এই মারণ কুয়ো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঘটনাস্থলে আসা দমকল আধিকারিক সুরেন্দ্র সরকারও। যদিও ঘটনার পর গোডাউন মালিক পৃথ্বেশ তিওয়ারীর দেখা পাওয়া যায়নি।