শুনশান রাস্তাঘাট, বাইরে বেরিয়ে পুলিশের সাথে লুকোচুরি, ধরা পড়লে কান ধরে ওঠবস বা নাকখপ্তা। এবার হয়তো এইসব দৃশ্যের অবসান ঘটতে চলেছে। কারণ কমপ্লিট লকডাউনের সিদ্ধান্ত থেকে সরতে চলেছে রাজ্য। তবে পূর্ব ঘোষণা মতো ১১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ও ১২ই (শনিবার) সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে। তারপর আর পূর্ণ লকডাউন ভাবনা নেই সরকারের। তবে, কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন বিধি বলবৎ থাকবে। আপাতত এই সিদ্ধান্তেই এগতে চাইছে রাজ্য। যদিও লকডাউন করার ভাবনা থেকে বেরলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কড়া দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা হবে। মুখবন্ধনী ছাড়া রাস্তায় বেরলে কপালে দুঃখ থাকতে পারে বিধি ভঙ্গকারীর। অর্থাই মাস্ক পড়া ও দূরত্ববিধি বজায় রাখার উপর জোর দিতে শুরু হচ্ছে বাড়তি নজরদারিও।
তবে, সাপ্তাহিক লকডাউন নিয়ে বিরোধীরা সমালোচনা করলেও এর সুফল মিলেছে বলেই অনেকের মত। লাগামছাড়া সংক্রমণে অনেকটা রাশ টানা গিয়েছে। কমেছে কন্টেইন্টমেন্ট জোনের সংখ্যাও। কলকাতা সহ জেলাগুলির পরিস্থিতিও ক্রমেই ভালো হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা প্রায় আড়াই মাসের লকডাউনে রাজ্যের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হয়েছে। এছাড়া শারদোৎসবের সঙ্গে বহু মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে রয়েছে।
তাই আর পূর্ণ লকডাউনে যেতে চাইছে না রাজ্য সরকার। তা ছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজ্যবাসী এখন অনেক সতর্ক হয়েছেন। বেড়েছে সচেতনতা। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার এই মুহূর্তে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। লকডাউন থেকে সরে আসার ভাবনা-চিন্তা করার এটাই উপযুক্ত সন্ধিক্ষণ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে, নবান্নের শীর্ষ এক আধিকারিকের স্পষ্ট ইঙ্গিত—১২ সেপ্টেম্বরের পরে সম্পূর্ণ লকডাউনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাঁর যুক্তি, কোভিড সংক্রমণের সামগ্রিক পরিস্থিতি আগের থেকে যথেষ্ট ভালো।