আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হবে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে বিকাশ ভবন থেকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোভিডের কারণে স্কুলে কী কী বিধি মেনে চলতে হবে সেই বিষয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে সবিস্তারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ করার জন্য প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে আবেদন করা হয়েছে।
মূলত গাইডলাইনে স্কুলগুলিকে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, শিক্ষকদের কী দায়িত্ব থাকবে, প্রধান শিক্ষকদের কোন দায়িত্ব থাকবে, জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কী দায়িত্ব থাকবে, প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে, সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি স্কুলের নোটিশ বোর্ডে লাগাতে হবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক শিক্ষক শিক্ষক কর্মীদের জন্য। অভিভাবকদের জানাতে হবে যদি তাদের ছাত্র বা ছাত্রী জ্বর থাকে বা কোন রকম শারীরিক গত সমস্যা থাকে তাহলে ন্যূনতম সাতদিন বাড়িতে বিশ্রামে রাখতে হবে।
কোনও রকম খাবার, জল আদান-প্রদান একেবারেই নিষিদ্ধ। স্কুলের শৌচাগার থেকে শুরু করে সব জায়গায় গুলিকে স্যানিটাইজ করতে হবে। স্কুলে যখন ছাত্রছাত্রীরা ঢুকবেন তখন তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝাতে হবে যাতে সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং হাত পরিষ্কার টা প্রয়োজনীয় বিষয়। আপাতত খেলাধুলা বা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
স্কুলে যখনই ছাত্রছাত্রীরা ঢুকবে হাত পরিষ্কার করতে হবে। একসঙ্গে জড়ো হয়ে কোন প্রার্থনা করা যাবে না তবে ক্লাসরুম ভিত্তিক প্রার্থনা করা যেতে পারে। অন্যের ব্যবহার করা বই,ব্যাগ, টিফিন যাতে কোন ছাত্র-ছাত্রী স্পর্শ না করে তা দেখতে হবে।
প্রত্যেকটি স্কুলে একটি নির্দিষ্ট করে আইসোলেশন রুমে রাখতে হবে। প্রত্যেকদিন স্যানিটাইজ করতে হবে। সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় থাকে তা বিশেষভাবে দেখতে হবে। কোনও ভিজিটর,অভিভাবক স্কুলের ভেতরে ঢুকবেন না।
প্রত্যেকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের তাপমাত্রার রেকর্ড রাখবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে যাতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্কুলগুলি এই গাইডলাইন মানছে কে মানছে না তা যেন নজরদারি রাখেন। যদি কোন সমস্যা দেখতে পান তাহলে তা যেন অবিলম্বে দ্বারা জেলাশাসকদের নজরে আনেন।
প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে এই গাইডলাইনে। বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেবেন। প্রধান শিক্ষকরা ব্যক্তিগতভাবে সব ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন যেদিন প্রথম স্কুল খুলবে এবং তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলবেন যাতে তাদের মধ্যে থেকে করোনার ভয় দূর হয়।
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের গাইডলাইনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কি দায়িত্ব থাকবে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন ক্যাম্পাস থেকে যাতে না বেরিয়ে যায় তার প্রতি নজর রাখতে হবে শিক্ষকদের। যারা অনলাইনে ক্লাস করতে না পারেন নি তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতে হবে শিক্ষকদের। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। গাইডলাইনে বলা হয়েছে প্রয়োজন ছাড়া শিক্ষকরা ছুটি না নেন কারণ এতদিন বাদে স্কুল খোলা হচ্ছে তাই এই বিষয়টি যাতে মাথায় রাখেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এর পাশাপাশি গাইডলাইনে অভিভাবকদের কি ভূমিকা থাকবে এবং ছাত্র ছাত্রীদের ভূমিকা থাকবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।স্কুল খোলার আগে কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে তার জন্য চেকলিষ্ট দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষক এবং জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের। (Image Source: Google)