27 জানুয়ারী বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধী প্রস্তাব। এমনটাই জানিয়েছেন পরিষদীয় দল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে কেরলে প্রথম বিধানসভায় এ আইনের বিরোধিতা বিল পাস হয়। তারপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় এই বিল পাসের জন্য চাপ বাড়ছিল। এতদিন তৃণমূল গুরুত্ব না দিলেও হঠাৎ করেই 27 তারিখ এই বিল পেশ হবে বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন অনেক আগেই এই বিল পাস হওয়া উচিত ছিল। তার পরেও দেরিতে হলেও তৃণমূলের ঘুম ভাঙ্গায় তিনি খুশি। তার দলকে সমর্থন দেবে।বামের অবশ্য বিলের ওপর ভরসা করছেন না। তারা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
উনি সকালে এক কথা বলেন বিকালে পাল্টি খেয়ে যান। সূর্যকান্ত মিশ্র সরাসরি বলেছেন যতক্ষণ না কাজে করবেন ততক্ষণ তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। উল্লেখ্য নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধিত বিল বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ করেছিলেন সুজন ও মান্নান। সেই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছিল ৬ সেপ্টেম্বর। এর মাঝে নাগরিকত্ব বিল পরিণত হয় আইনে। স্বাভাবিকভাবে সেই প্রস্তাবের বৈধতা থাকে না। সে কথা সোমবার উল্লেখও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর গত ৭ জানুয়ারি কেরলের মতো নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী প্রস্তাব আনতে চায় বাম-কংগ্রেস। কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম শিবিরের প্রশ্ন, হঠাত্ কী হল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অবস্থান বদল করলেন?