২৮৬ বছরে, এই প্রথমবার পুজোয় ছেদ পড়লো! মূর্তিহীন ঘটে ও পটে পুজো শুরু হল শনিবার থেকে চুঁচুড়া কামারপাড়া এলাকার আঢ্য বাড়ির পুজো। অতিপ্রাচীন এই পুজোর শুরু ২৮৬ বছর আগে। তৎকালীন বাড়ির গৃহকর্ত্রী স্বপ্নাদেশ পান যে প্রতিপদ থেকেই ঘটে পুজো শুরু করতে হবে এবং তারপর ষষ্ঠীর দিন থেকে মূর্তিতে পূজা শুরু হবে, কারণ মায়ের আগমন-স্মৃতি প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায়। সেই নিয়ম মেনেই চলছিল বিগত ২৮৬টি বছর।
কিন্তু এবার মহামারির প্রকোপে, ছেদ পড়ল সেই পুজোয়। এর আগেও মহামারী হয়েছিল! সাক্ষী ছিল চুঁচুড়ার আঢ্য বাড়ি। কিন্তু বন্ধ হয়নি পূজো। এবার সেই পুজো শুরু হল বিগত ২৮৬ বছরের ইতিহাসকে বদল করে। দশমী পর্যন্ত ঘট ও পটেই হবে পুজো, কারণ এই বছর প্রথমবার, মূর্তি করা হচ্ছেনা আঢ্য বাড়িতে। একদিকে যেমন এই পরিবারের বাইরে থাকা মানুষগুলো আসতে পারছেন না এবছর, তেমনই মূর্তি পূজা করলেই লোক সমাগম হবে এবং তার ফলে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার প্রকোপ।
সেই কারণেই এই প্রথম মূর্তিহীন পূজা হতে চলেছে ২৮৬বছরের প্রাচীন, আঢ্য বাড়িতে। শনিবার সকালেই প্রতিপদ তিথি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেবী বন্দনায় মধ্যে দিয়ে ঘটে পুজো শুরু হয়ে গেল। ষষ্ঠীর দিন এই ঘটটি দুর্গা দালানের বেদীতে নিয়ে গিয়ে শুরু হবে মায়ের পুজো। মায়ের একটি ছবি বাঁধিয়ে নেওয়া হয়েছে এবছর, সেটি থাকবে সামনে এবং তাতেই হবে পুজো। অন্যবারের মতন জমজমাট সেই অনুষ্ঠান সবকিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে এবছর। স্বাভাবিকভাবেই একটু হলেও মন খারাপ সকলের। তাই মায়ের কাছে প্রার্থনা থাকবে যাতে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে দেশ। আগামী বছর মায়ের মূর্তিতেই যেন পূজা করতে পারে তারা, এই প্রার্থনাই জানাবে মায়ের কাছে এমনটাই বলছেন আঢ্য বাড়ির সদস্যরা।