৬ মাসের বেশি সময় ধরে আটক জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করা হল।জানাগেছে,জননিরাপত্তা আইন বা পিএসএর অধীনে বন্দি রাখা হয়েছিল তাঁকে। জননিরাপত্তা আইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তিকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটকে রাখা যায়। ৮৩ বছর বয়সী ফারুক আবদুল্লার পাশাপাশি আটক আছেন তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ উপত্যকার আরও বহু নেতাকে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে সেখানকার বিশেষ মর্যাদা শেষের কথা যখন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার তখনই নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে ওই সব রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা হয়।
ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করা হলেও এখনও বন্দি ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ অন্য রাজনৈতিক নেতারা।
ফারুক আবদুল্লাই প্রথম মূল স্রোতের রাজনীতিবিদ, যাঁর বিরুদ্ধে এই জনসুরক্ষা আইন কার্যকরা করা হয়। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদ।
ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি থাকা নিয়ে সংসদে কম হট্টগোল হয়নি। শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী ভরা সংসদে বলেছিলেন, “ফারুক আবদুল্লা কোথায়? উনি সাংসদ। উনি সভায় নেই কেন?” সোশ্যাল মিডিয়ায় মাস দুই আগে ফারুক-পুত্র ওমরের গাল ভরা দাড়ির ছবি নিয়ে কম হইচই হয়নি। নানান অভিযোগ উঠতে থাকে শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল বিজেপি। কাশ্মীরের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক বলে দাবি করেছে নেতৃত্ব।গত ডিসেম্বর মাস থেকে কাশ্মীরে স্থানীয় নেতাদের মুক্তি দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। এদিন মুক্তি দেওয়া হল বর্ষীয়ান ফারুক আবদুল্লাকে।