কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা হতে না হতেই রাজ্যে শুরু হল বিক্ষোভ। কেন্দ্রের এই ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ২১ শতাংশে পৌঁছাল বলে দাবি বামপন্থী কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির। আগামী সোমবার টিফিনের সময়ে গোটা রাজ্যে তাঁদের সদস্যরা অফিসে অফিসে বিক্ষোভ দেখাবেন।
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে….রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মহাঘ’ভাতা কোনো দয়ার দান নয়, এটা ন্যায্য ও আইনী অধিকার। All India consumer price lndex অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার বছরে জানুয়ারি ও জুলাই মাসে মূল্য বৃদ্ধির জন্যে মহার্ঘভাতা ঘোষণা করে। সেই অনুযায়ী দেশের সব রাজ্য সরকারও মহার্ঘভাতা দিয়ে থাকে। সুতারাং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা বেতন কমিশন চালু হওয়ার পর ১৭ %মহাঘ’ভাতা পাচ্ছিল। আজ ১৩ মার্চ ২০২০ কেন্দ্রীয় সরকার ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে আরো ৪% মহার্ঘভাতা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের জন্য। ফলে এই মূহুর্তে এই রাজ্যের সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সহ সরকার পোষিত অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল ২১%(১/৭/১৬ — ২%, ১/১/১৭– ২%, ১/৭/১৭– ১%, ১/১/১৮– ২%, ১/৭/১৮ —২%, ১/১/১৯– ৩%, ১/৭/১৯– ৫% এবং ১/১/২০– ৪%)। অথচ আমাদের রাজ্যে রাজ্য সরকার মহার্ঘভাতা বিহীন বেতন কমিশন চালু করেছে যা ভূভারতে কোথাও হয় নি । রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা পাহাড় প্রমাণ আর্থিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বছরে দুটি মহার্ঘভাতা পেয়েছি, আবার কোনো বছরে তিনটি মহার্ঘভাতাও পেয়েছি। চারটি বেতন কমিশন মহর্ঘ’ভাতাও arrear সহ পেয়েছি। বর্তমান রাজ্য সরকার দারুণ ভাবে বঞ্চিত করছে।
যার জন্যে কর্মচারী ও শিক্ষকেরা স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ। উপরন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে ভাবে বলা হচ্ছে তাতে কর্মচারী,শিক্ষক ও তার পরিবারের প্রতি সামাজিকভাবে বঞ্চনা ও অপমান করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। রাজ্য সরকারের এই তীব্র বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০ কলকাতা সহ রাজ্যের প্রতিটি ব্লক,মহকুমা, জেলা সদরের প্রতিটি সরকারী দপ্তরে রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বে টিফিন বিরতিতে বিক্ষোভে শামিল হবেন রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দল-মত-সংগঠন নির্বিশেষে সমগ্র কর্মচারী সমাজকে অংশগ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে ন্যায্য দাবি পূরণের লক্ষ্যে বিবেচনার জন্য বলছি অন্যথা সব অংশের কর্মচারী ও শিক্ষকদের নিয়ে যৌথভাবে বৃহত্তর আন্দোলনে অর্থাৎ প্রশাসনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার মত কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
- সন্ধ্যা নামলেই ভূতের আতঙ্কে ভীত সন্ত্রস্ত এলাকাবাসী
- গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
- ঝুলন্ত পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার
- সরকারি ভাবে ডেঙ্গু সচেতনতা করলেও প্রদীপের নিচেই অন্ধকার
- খুন হতে হল; বিবাহিত মহিলারা সাথে ভালোবাসার সম্পর্কের কারণে