জেলা

৫০ গ্রাম থেকে ৫০ কেজির মাছ মিলছে হুগলির মাছমেলায়।

প্রতেক বারের ন্যায় এবছরেও মাছের মেলাকে ঘিরে মাতল হুগলি জেলার আদিসপ্তগ্রাম দেবানন্দপুর এলাকার কৃষ্নপুর অঞ্চল। জানা গেছে, ৫১৩ বছর আগে শ্রীমত রঘুনাথ দাস গোস্বামীর ঘরে ফেরাকে ঘিরে কৃষ্ণপুরে ‘উত্তরায়ন’ নামে এই উৎসবের সুচনা হয় । এখানে এদিন দিনভোর নামসংকীর্তনের পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এক বড়সড় মেলও বসে । তবে এই মেলায় জিলিপি পাপড় ভাজা নাগর দোলনা থেকে মাছের আকর্ষণীয় পদ নজর কাড়ে। নিয়ম মেনেই প্রতি বছর ১লা মাঘ এখানে হরেক মাছ বিক্রি হওয়ার সুবাদে সাধারন মানুষের কাছে এই মেলা ক্রমেই মাছের মেলা হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। সূত্রে জানা যায় এই এলাকায় একদা জমিদার ছিলেন গোবর্ধন মজুমদার। গোবর্ধনবাবুর একমাত্র সন্তান রঘুনাথ দাস পরবর্তী কালে উপাধিপেয়ে রঘুনাথ দাসগোস্বামী হয়ে ওঠেন ।

তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর দশনের জন্য পুরিধামে যাত্রা করেন সেখান থেকে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে । সেখানে এত কম বয়সে সন্ন্যাস নেওয়ার জন্য রঘুনাথ ববুকে দন্ড হিসাবে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন । পানিহাটিতে এই দন্ড উৎসব আজও হয়ে আসছে । যাইহোক বহু দিনপর ঘরর ছেলে ঘরে ফিরে আসায় আনন্দে মাতে জমিদার বাড়ি । সেই সময় স্হানিয় কিছু বৈষ্ণব রঘুনাথ বাবুকে বলেন আমরা এত ডেকেও মহাপ্রভুর দর্শন পেলাম না কিন্তু তুমি এই বয়সে প্রভুর দশন পেয়ে গেলে । তুমি যদি সত্যই প্রভুর দর্শন পাও তাহলে এই অসময়ে ইলিস মাছের ঝাল আর আমের টক করে খাওয়াও।

বৈষ্ণবদের কথামতো মাঘমাসে আসময়ে পুকুর থেকে ইলিস মাছ ও আম গাছ থেকে আম পেড়ে তাদের খাওয়ান । আর সাথেসাথে শুরু হয়ে যায় গ্রামবাসীদে উৎসব । শুরু হয়ে যায় মাছের মেলা । ৫১৩ বছর ধরে সেই মেলা হয়ে আসছে । ৫০ গ্রাম থেকে শুরু হয়ে ৫০ কেজি বিভিন্ন সাইজের বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে হাজির হন মাছ ব্যবসায়ীরা । লাভ লোসকান যাই হোক না কেনো এক দিনের এই মেলায় জেলা তথা জেলার বাইরের মৎস ব্যাবসায়ীদের আসা চা – ই – চাই । অন্য দিকে শীতের মরশুমে এই মেলকে ঘিরে এলাকায় বনভোজনের জন্য ভিড় উপচে পরে । অর এই বনোভজনের বিশেষ আকর্ষন এই মেলা থেকে হাতে গরম মাছ কিনে নরম গরম মাছের নানা রকম আইটেম ।

Loading

Leave a Reply