দেশের ঐতিহাসিক সংসদ ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। সেখানে তৈরি করা হবে দৃষ্টিনন্দন নতুন সংসদ ভবন। আর সেটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে ভারতের টাটা গ্রুপ। ১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ব্যয়ে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ ২০২২ সালে শেষ হবে বলে জানানো হচ্ছে।
তবে এর মধ্যেই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে৷ অনেকেই বলছেন, সরকারের উচিত এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অর্থ খরচ করা। বর্তমানে ভারতে ৫০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। আর এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষ এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
তবে সরকার পক্ষে জানানো হয়েছে, ১৯২০ সালে এই সংসদ ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল, বর্তমানে এর সক্ষমতা হারিয়ে গেছে। ফলে এটি নতুন করে নির্মাণ করা দরকার।
বলা হচ্ছে, দিনে দিনে এর সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত হচ্ছেন। বর্তমানের চেয়ে আকৃতিতে বড় হবে নতুন ভবনটি। ১৪০০ এমপির আসন সংখ্যা রেখে এটি তৈরি করা হচ্ছে।
খবরে বলা হচ্ছে নতুন ভবনটি হবে তিনতলা এবং ত্রিভুজাকৃতি।
দিল্লিতে ঔপনিবেশিক আমলের সরকারি ভবনগুলো আধুনিকায়নের জন্য সরকারের নেয়া এক প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে গোটা প্রকল্পটি নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রকল্পের সমালোচকরা এর খরচ এবং নতুন ভবনগুলোর নির্মাণশৈলীর নান্দনিকতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তবে নতুন সংসদ ভবনের জন্য দাবি প্রায় এক দশকের পুরনো। নতুন একটি ভবন তৈরির প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সংসদে গত এক দশক ধরে বক্তব্য দিয়ে এসেছেন বিভিন্ন স্পিকার।
ব্রিটিশ স্থপতি হারবার্ট বেকার ভারতের বর্তমান গোলাকৃতি সংসদ ভবনটির নকশা তৈরি করেছিলেন। এই সংসদ ভবনে বিশাল গম্বুজাকৃতি হল রয়েছে এবং নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল ১৯২৭ সালে।