এক বছরেই শেষ বিপ্লবীয়ানা। নারী সুরক্ষার কথা বলে ‘জাস্টিস’ চাওয়া দুর্গাপুজো কমিটিগুলি এবার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদান পেতে।এখানেই অবশ্য শেষ নয়, নিশ্চিতভাবে যাতে এই অনুদান মেলে তার জন্য ‘বিপ্লবী’ পুজো কমিটিগুলি দ্বারস্থ হচ্ছেন নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিদের। কারণ, আর জি কর ইস্যু দেখিয়ে তারা গতবারের রাজ্য সরকারের অনুদান চাই না বলে চেক ফেরায়। বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের রয়েওছে একাধিক পুজো কমিটি। এক বছরেই তারা ‘ভোল’ বদলে চাইছেন মমতার অনুদান। স্বাভাবিকভাবে একবছরেই বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলির বিপ্লবীয়ানাতে ইতি পড়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে চর্চা।
শুরু হয়ে গিয়েছে পিতৃপক্ষের। ক্যালেন্ডার বলছে আর মাত্র ১৪ দিনের অপেক্ষা। বছর ঘুরে ঘরে আসবে উমা। কিন্তু গতবছর দুর্গাপুজোর আগেই ঘটে যায় আর জি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা। ওই আবহে দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদানে ‘না’ করে কলকাতা সহ জেলারএকাধিক পুজো কমিটি। সূত্রের খবর, যারা এই অনুদান ফিরিয়েছেন সেই পুজো কমিটিগুলিতে তৃণমূল-বিরোধী মনোভাবাপন্ন মানুষের প্রভাব বেশি। আর জি কর ইস্যুকে সামনে রেখেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে পুজো কমিটিগুলি এই টাকা প্রত্যাহার করে বলেই ওয়াকিবহলমহলের ধারণা। কিন্তু এবার বেড়ে গিয়েছে পুজোর অনুদান। রাজ্য সরকারের ৮৫ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে পুজো অনুদান ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিলে পুজো কমিটিগুলিকে ৮০ শতাংশ ছাড়। পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলি ফায়ার লাইসেন্স ফিও মকুবের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতার এই পুজো সহায়তায় আওতায় আসতে ‘মরিয়া’ হয়ে উঠেছে গতবারের বিপ্লবী পুজো কমিটিগুলি। সূত্রের খবর, জেলায় গতবার যে সমস্ত পুজো কমিটি টাকা ফিরিয়েছিল তারা এবার অনুদান নিতে আগেভাগে আবেদন করেছে। বিশেষ সূত্রের খবর, গতবারের অনুদান ফেরানোর কারণ দর্শাতে তারা মুচলেকা জমা দিচ্ছেন। তাতে লেখা থাকছে অনুদান ফেরানোর ‘আজব’ যুক্তি। কেউ লিখছেন ক্লাব সদস্যের মৃত্যুর জন্য টাকা ফেরানো হয়েছে। আবার কেউবা লিখছেন বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য অনুদান ফিরিয়েছিলাম। এক বছরেই পালটি খেল উদ্যোক্তারা।এবার অনুদান পেতে মাথা ঠুকছেন তৃণমূলের নেতাদের দুয়ার থেকে শুরু করে পুলিশের দরবারে। একটাই আর্জি, গতবারের ভুল সংশোধন করে দেওয়া হোক। এবার সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তবে এ নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, অনুদান দেওয়ার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। সমস্তটাই পুলিশ করে। তাই কারা ফের আবেদন করেছেন গতবার ফিরিয়ে সেই সংখ্যা জানা নেই। তবে, বিপ্লবী ওই কমিটিগুলি এবার ফের টাকা পেতে যে আবেদেন করেছে তা শুনেছি। এদিকে পুলিশ মহলের এক কর্তা জানিয়েছেন, কিছু পুজো কমিটি যারা গতবারের অনুদান ফিরিয়েছিল, তারা এবার আবেদন জমা দিয়েছে থানাতে।
![]()

