এক রাতেই রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি। তাতেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের শুরুতেই বিপর্যস্ত মহানগর কলকাতা। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় কোথাও কোমর সমান, কোথাও হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছে। এদিন সকাল থেকেই শহরজুড়ে শুধুই ভোগান্তির ছবি। তারমধ্যেই শহরের একাধিক জায়গায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরের পাঁচ জায়গায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বাড়ির একতলাতেও জল ঢুকেছে। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদহ মেন শাখাতেও কিছু জায়গায় লাইনে জল জমেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে চলাচল করছে বলে খবর। ফলে সকালের বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তাতেও বাস চলাচল ব্যাহত হয়েছে। জল জমে থাকার কারণে গাড়ি ধীরে চলাচল করছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথেও জল জমে গিয়েছে। ফলে পথচারীদেরও যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।ইদানীং কালের মধ্যে এমন দুর্যোগের ছবি বোধ হয় দেখেনি এ শহর। রাতভর বৃষ্টিতে কার্যত ভাসছে শহর। তীব্র গতিতে বইছে জলের স্রোত। এরই মধ্যে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল শহরে। নেতাজিনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাইকেল আরোহীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাস্তার ধারে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যান তিনি।কালিকাপুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তাছাড়া বালিগঞ্জ প্লেস, হরিদেবপুর, বেহালা, ইকবালপুর, বেনিয়াপুকুরেও ঘটে গিয়েছে একইরকম মর্মান্তিক ঘটনা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেহ উদ্ধারও করা যাচ্ছে না জল জমে থাকার কারণে। বহু জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জলে পড়ে রয়েছে। তড়িদাহত হওয়ার আশঙ্কায় একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
![]()

